যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকাজ পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়।
অথবা,
যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ সরাসরি শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়, তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য
- নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ: প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে নাগরিকরা আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরাসরি অংশ নেয়।
- গণভোট: কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নাগরিকদের মতামত জানতে গণভোটের আয়োজন করা হয়।
- গণপরিষদ: নাগরিকদের নিয়ে গঠিত গণপরিষদ আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
- প্রত্যাহার: নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যকালে অসন্তুষ্ট হলে নাগরিকদের তাদের প্রত্যাহার করার অধিকার থাকে।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের কিছু সুবিধা
- নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ: নাগরিকরা সরাসরি শাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ায় তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
- জবাবদিহিতা: নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরাসরি নাগরিকদের কাছে দায়বদ্ধ থাকায় তাদের মধ্যে জবাবদিহিতা বাড়ে।
- জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলন: নীতি নির্ধারণে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকায় তাদের ইচ্ছা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের কিছু অসুবিধা
- বাস্তবায়নের জটিলতা: আধুনিক রাষ্ট্রগুলো আয়তনে বিশাল হওয়ায়বিশেষজ্ঞ কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য Specialist সব নাগরিকের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা কঠিন।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব: সব নাগরিকের মতামত নিতে গিয়ে অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয়।
- বিশেষজ্ঞের অভাব: সাধারণ নাগরিকরা সবসময় জটিল বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত দিতে সক্ষম নাও হতে পারে।