পোস্টগুলি

Home ভিডিও ক্লাস রসায়ন পদার্থবিজ্ঞান জীববিজ্ঞান গণিত English প্রাক-প্রাথমিক

ধর্ম কিভাবে আইনের উৎস হিসেবে কাজ করে?

ধর্ম কিভাবে আইনের উৎস হিসেবে কাজ করে? ধর্মকে আইনের প্রাচীন উৎস। মধ্যযুগে ধর্মকে কেন্দ্র করে আইন প্রণীত হতো। কারণ একজন শাসকের হাতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষমতা থাকলে সে ব্যক্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় অনুশাসন প্রয়োগ করে। পরবর্ততীতে সেসব ধর্মীয় অনুশাসন আইনে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, হিন্দু ও মুসলমানদের বিবাহ, সামাজিক সম্পর্ক ও উত্তরাধিকর সংক্রান্ত আইনগুলো হিন্দু ও মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। বিশেষত প্রাচীন গ্রিস ও রোমের অধিকাংশ আইন প্রণীত হয়েছিল ধর্মকে কেন্দ্র করে। আরো পড়ুনঃ আইনসভার নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ ও বিচারসংক্রান্ত কাজের বর্ণনা দাও। আইনের উৎসসমূহের বর্ণনা দাও। আইন মেনে চলা হয় কেন? সেবা বলতে কি বুঝায়? সেবার প্রকারভেদ | সেবার বৈশিষ্ট্য | সেবার গুরুত্ব কপিরাইট কেন প্রয়োজন?

মোল

মোল (Mole) মোল মোল হলো রাসায়নিক পদার্থের পরিমাপের একক। কোনো পদার্থ এর যে পরিমাণের মধ্যে 6.023×10 23  টি পরমাণু, অণু বা আয়ন থাকে সেই পরিমাণকে ঐ পদার্থের মোল বলা হয়। যেমনঃ 12 গ্রাম C এর মধ্যে 6.023×10 23  টি C পরমাণু থাকে। রাসায়নিক পদার্থের (পরমাণুর ক্ষেত্রে) পারমাণবিক ভর অথবা (অণুর ক্ষেত্রে) আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের এক মোল বলা হয়। অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা কোনো পদার্থের এক মোলে যে পরিমাণ অণু, পরমাণু বা আয়ন বিদ্যমান থাকে তাকে অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা বলে। অ্যাভোগ্রেড্রোর সংখ্যার মান অ্যাভোগ্রেড্রোর সংখ্যার মান 6.023×10 23  । গ্যাসের মোলার আয়তন মোলার আয়তন এক মোল পরিমাণ পদার্থের আয়তনকে মোলার আয়তন বলে। প্রমাণ অবস্থায় সকল গ্যাসীয় পদার্থের মোলার আয়তন সমান এবং তা 22.4 লিটার। প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ 25° তাপমাত্রা ও 1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপকে প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ বলে। স্থূল সংকেত যে সংকেত দ্বারা কোনো অণুতে বিদ্যমান পরমাণুসমূহের অনুপাত প্রকাশ করা হয় তাকে স্থূল সংকেত বলে। যেমনঃ বেনজিনের আণবিক সংকেত C 6 H 6  হলে স্থূল সংকেত CH। আণবিক সংকেত যে সংকেত দ্বারা যৌগের অণুতে ব

পারমাণবিক ভর বা আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর

ছবি
পারমাণবিক ভর বা আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর (Atomic Mass or Relative Atomic Mass) কোনো মৌলের পরমাণুর ভরসংখ্যা হলো পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল। তাহলে ভরসংখ্যা নিশ্চয়ই হবে একটি পূর্ণসংখ্যা।  কিন্তু কপারের পারমাণবিক ভর 63.5 আর ক্লোরিনের পারমাণবিক ভর 35.5। এটা কীভাবে সম্ভব? আসলে এটি হলো আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর। সেটি কী? বা তার দারকারই বা কী? ফ্লোরিনের একটি পরমাণুর ভর হলো = 3.16×10 -23  গ্রাম। অ্যালুমিনিয়ামের একটি পরমাণুর ভর = 4.482×10 -23  গ্রাম। কার্যক্ষেত্রে এত কম ভর ব্যবহার করা অনেক সমস্যা। সে জন্য একটি কার্বন 12 আইসোটোপের ভরের  1 / 12  অংশকে একক হিসেবে ধরে তার সাপেক্ষে পরমাণুর ভর মাপা হয়। কার্বন 12 আইসোটোপের পারমাণবিক ভরের  1 / 12  অংশ হচ্ছে 1.66×10 -24  গ্রাম। কোনো মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর = (মৌলের একটি পারমাণুর ভর)  ÷  (একটি কার্বন 12 আইসোটোপের পারমাণবিক ভরের  1 / 12  অংশ) কোনো মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভর জানা থাকলে আমরা আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বের করতে পারবো। এক্ষেত্রে ঐ মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভরকে 1.66×10 -24  গ্রাম দ্বারা ভাগ করে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভ

পরমাণুর শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস

ছবি
পরমাণুর শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস (Orbital Electronic Configuration of Atoms) বোরের মডেলে যে শক্তিস্তরের কথা বলা হয়েছে তাকে প্রধান শক্তিস্তর বলা হয়। প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2n 2  যেখানে n = 1, 2, 3, ......... ইত্যাদি। অতএব, সূত্রানুসারে- K শক্তিস্তরের জন্য n = 1,  অতএব, K শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন থাকতে পারে 2n 2  = (2×1 2 ) টি = 2 টি। L শক্তিস্তরের জন্য n = 2,  অতএব, L শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন থাকতে পারে 2n 2  = (2×2 2 ) টি = 8 টি। M শক্তিস্তরের জন্য n = 3,  অতএব, M শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন থাকতে পারে 2n 2  = (2×3 2 ) টি = 18 টি। N শক্তিস্তরের জন্য n = 4,  অতএব, N শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন থাকতে পারে 2n 2  = (2×4 2 ) টি = 32 টি। মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস [H(1) থেকে Zn(30) পর্যন্ত] পারমাণবিক সংখ্যা মৌল K L M N 1 H 1 2 He 2 3 Li 2 1 4 Be 2 2 5

পরমাণুর ভেতরের কণা

ছবি
পরমাণুর ভেতরের কণা (The Particles Inside an Atom) পরমাণু তিনটি কণা দিয়ে তৈরি। সেগুলো হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন। পরমাণুর কেন্দ্রের নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে এবং ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রনঃ ইলেকট্রন হলো পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার আধান বা চার্জ ঋণাত্মক বা নেগেটিভ। এ আধানের পরিমাণ -1.60×10 -19  কুলম্ব। একে e প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি ইলেকট্রনের ভর 9.11×10 -28  g। ইলেকট্রনের আপেক্ষিক আধান -1 ধরা হয় এবং এর ভর প্রোটন ও নিউট্রনের তুলনায় 1840 গুণ কম। তাই আপেক্ষিক ভর শূন্য ধরা হয়। প্রোটনঃ প্রোটন হলো পরমাণুর একটি মূল কণিকা চার্জ বা আধান ধনাত্মক বা পজেটিভ। এ আধানের পরিমাণ +1.60×10 -19  কুলম্ব। একে p প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি প্রোটনের ভর 1.67×10 -24  g। প্রোটনের আপেক্ষিক আধান +1 এবং আপেক্ষিক ভর 1 ধরা হয়। নিউট্রনঃ নিউট্রন হলো পরমাণুর আরেকটি মূল কণিকা যার কোনো আধান বা চার্জ নেই। হাইড্রোজেন ছাড়া সকল মৌলের পরমাণুতেই নিউট্রন রয়েছে। একে n প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর ভর প্রোটনের ভরের চেয়ে সামান্য বেশি। নিউট্রনের আপেক্ষিক আধান 0 আর আপেক্ষিক ভর 1 ধরা

সংকেত

সংকেত (Formula) হাইড্রোজেনের একটি অণুকে প্রকাশ করতে H 2  ব্যবহার করা হয়। যার অর্থ হলো একটি হাইড্রোজেনের অণুতে দুটি হাইড্রোজেনের পরমাণু (H) আছে।  আবার, পানির একটি অণুকে প্রকাশ করতে H 2 O ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে পানির একটি অণুতে দুটি হাইড্রোজেন (H) এবং একটি অক্সিজেন পরমাণু (O) থাকে। নিচে কয়েকটি অণুর সংকেত দেখানো হলোঃ অণুর নাম সংকেত  নাইট্রোজেন N 2  অ্যামোনিয়া NH 3  ক্লোরিন Cl 2  সালফিউরিক এসিড  H 2 SO 4  হাইড্রোক্লোরিক এসিড  HCl এসএসসি || রসায়ন || SSC || Chemistry অধ্যায় - ০১ : রসায়নের ধারণা অধ্যায় - ০২ : পদার্থের অবস্থা অধ্যায় - ০৩ : পদার্থের গঠন অধ্যায় - ০৪ : পর্যায় সারণি অধ্যায় - ০৫ : রসায়নিক বন্ধন অধ্যায় - ০৬ : মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা অধ্যায় - ০৭ : রাসায়নিক বিক্রিয়া অধ্যায় - ০৮ : রসায়ন ও শক্তি অধ্যায় - ০৯ : এসিড-ক্ষারক সমতা অধ্যায় - ১০ : খনিজ সম্পদ ধাতু-অধাতু অধ্যায় - ১১ : খনিজ সম্পদ- জীবাশ্ম অধ্যায় - ১২ : আমাদের জীবনে রসায়ন

মৌলের প্রতীক

মৌলের প্রতীক (Symbols of Elements) কোনো মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলে। প্রত্যেকটি মৌলকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে তাদের আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহার করা হয়।  মৌলের প্রতীক লিখতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়। ক) মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রতীক লেখা হয় এবং তা ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। খ) যদি দু্ই বা দুইয়ের অধিক মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর একই হয় তবে একটি মৌলকে নামের প্রথম অক্ষর (ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের) দিয়ে প্রকাশ করা হয়। অন্যগুলোর ক্ষেত্রে প্রতীকটি দুই অক্ষরে লেখা হয়। নামের প্রথম অক্ষরটি ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের অক্ষর এবং নামের অন্য একটি অক্ষর ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে লেখা হয়। গ) কিছু মৌলের প্রতীক তাদের ল্যাটিন নাম থেকে নেওয়া হয়েছে। মৌলের নামকরণ মৌল ইংরেজি প্রতীক হাইড্রোজেন Hydrogen H অক্সিজেন Oxygen O নাইট্রোজেন Nitrogen N মৌলের নামকরণ (প্রথম অক্ষর এক) মৌল ইংরেজি নাম প্রতীক

পরমাণু ও অণু

পরমাণু ও অণু (Atoms and Molecules) পরমাণু হলো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকে। যেমন- নাইট্রোজেনের পরমাণুতে নাইট্রোজেনের ধর্ম বিদ্যমান আর অক্সিজেনের পরমাণুতে অক্সিজেনের ধর্ম বিদ্যমান। দুই বা দুইয়ের অধিক সংখ্যক পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধন - এর মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তাকে অণু বলে। দুটি অক্সিজেন পরমাণু (O) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন অণু (O 2 ) গঠিত হয়। আবার, একটি কার্বন পরমাণু (C) দুটি অক্সিজেন পরমাণুর (O) সাথে যুক্ত হয়ে একটি কার্বন ডাই-অক্সাইড অণু (CO 2 ) গঠিত হয়। একই মৌলের একাধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হলে তাকে মৌলের অণু বলে। যেমন- O 2 । ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু পরস্পর যুক্ত হলে তাকে যৌগের অণু বলে। যেমন- CO 2 । এসএসসি || রসায়ন || SSC || Chemistry অধ্যায় - ০১ : রসায়নের ধারণা অধ্যায় - ০২ : পদার্থের অবস্থা অধ্যায় - ০৩ : পদার্থের গঠন অধ্যায় - ০৪ : পর্যায় সারণি অধ্যায় - ০৫ : রসায়নিক বন্ধন অধ্যায় - ০৬ : মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা অধ্যায় - ০৭ : রাসায়নিক বিক্রিয়া অধ্যায় - ০৮ : রসায়ন ও শক্তি অধ্যায় - ০৯ : এসিড-ক্ষারক সমতা অধ্যায় - ১০ : খনিজ সম্পদ ধাতু-অধা

সর্বাধিক পঠিত পোষ্টসমূহ

আইনের প্রাচীনতম উৎস কি?

উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য

পতিত জমি অর্থ কি?

প্রকল্প কাকে বলে? প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কী কী? উদ্যোক্তা কিভাবে প্রকল্প নির্বাচন করেন? প্রকল্প নির্বাচনে জনসংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক বলা হয় কেন?

স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে? স্থিতিশীল উন্নয়নের বৈশিষ্ট্য, স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

আইন কাকে বলে? আইনের বৈশিষ্ট্য সমূহ

রাজনৈতিক দল কাকে বলে? রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য

গুণিতক কাকে বলে?

স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তির প্রকারভেদ