সবজি চাষ বিদ্যাকে হর্টিকালচার বলে। হর্টিকালচার শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ “হর্টাস” (উদ্যান) এবং “কালচার” (চাষ) থেকে। হর্টিকালচার কেবল সবজি চাষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ফল, ফুল, বাদাম, ভেষজ, এবং শোভাবর্ধক উদ্ভিদের চাষ, উৎপাদন, এবং বাজারজাতকরণও অন্তর্ভুক্ত করে।
হর্টিকালচারের বিভিন্ন শাখা রয়েছে:
- ওলেরিকালচার: সবজি চাষ
- পমোলজি: ফল চাষ
- ফ্লোরিকালচার: ফুল চাষ
- আর্বরিকালচার: বৃক্ষ ও ঝোপ চাষ
- ল্যান্ডস্কেপ হর্টিকালচার: বাগান ও ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন
- নার্সারি ম্যানেজমেন্ট: চারাগাছ উৎপাদন
বাংলাদেশে হর্টিকালচার:
- বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে হর্টিকালচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের মোট কৃষি জমির প্রায় ১৭% হর্টিকালচারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রধান সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, বেগুন, লাউ, কাঁকরোল, শসা, কপি, ফুলকপি, এবং ব্রকলি।
- বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে সবজি রপ্তানি করা হয়।
হর্টিকালচারের গুরুত্ব:
- খাদ্য নিরাপত্তা: হর্টিকালচার বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে।
- আয়ের উৎস: হর্টিকালচার কৃষকদের জন্য আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
- কর্মসংস্থান: হর্টিকালচার গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
- দারিদ্র্য বিমোচন: হর্টিকালচার দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পরিবেশগত ভারসাম্য: হর্টিকালচার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
হর্টিকালচার সম্পর্কে আরও জানতে:
- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট: https://www.bari.gov.bd/
- বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: https://www.dae.gov.bd/
- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল: https://www.barc.gov.bd/