নিম্নে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
মাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব : বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি আর্থসামাজিক অবস্থায় মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অত্যধিক। নিচে মৎস্য সম্পদের বর্ণনা করা হলো:
ক. জাতীয় আয়ের উৎস : বৈদেশিক মুদ্রার এক বিরাট অংশ আসে মৎস্য সম্পদ থেকে। সরকার প্রতিবছর মৎস্য সম্পদ থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯ ভাগ আসে মৎস্য সম্পদ থেকে। মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রতিবছর প্রায় ২৭০ কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
খ. শিল্পের কাচামাল : মাছ অনেক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাছের কাটা ও উচ্ছিষ্টাংশ ওষুধ ও অন্যান্য শিল্পজাত দ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়। ফলে শিল্প বিকাশেও মাছের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
গ. খাদ্য ও পুষ্টির উৎস : আমিষের অন্যতম উৎস হলো মাছ। আমাদের দেহের পুষ্টি রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের ৭০% আসে মাছ থেকে।
ঘ. ভিটামিনের উৎস : মাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘A’ ও ‘D’ পাওয়া যায়।
ঙ. জীবিকার উৎস : দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকার জন্য মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮ ভাগ মৎস্য সম্পদ থেকে পাওয়া যায়।
চ. সার : মাছের উচ্ছিষ্টাংশ ও উপজাত পচানোর মাধ্যমে জৈব সার তৈরি হয় যা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
ছ. আমিষের চাহিদা পূরণ: বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ পূরণ করে মাছ।
জ. পশুপাখির খাদ্য : ছোট ছোট মাছ দ্বারা ফিসমিল তৈরি হয় যা হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ঝ. বৈদেশিক মুদ্রার উৎস : আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় শতকরা নয় ভাগ আসে শুধু মৎস্য সম্পদ থেকে।