পোল্ট্রি ফার্মিং কাকে বলে?

পোল্ট্রি ফার্মিং বলতে গৃহপালিত যেসব পাখির অর্থনৈতিক মূল্য আছে তাদেরকে Poultry Farming বলে। সেসব প্রাণী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিপালন করাকে Poultry Farming বলে। কোয়েল, কবুতর, টার্কি, উটপাখি Poultry-র আওতায় পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে ডিম ও মাংসের উৎস হিসেবে হাঁস-মুরগির প্রচলনই বেশি। পোল্ট্রির মূলত দু’টি জাত (Breed) দেখা যায়। একটি হলো খাঁটি জাত এবং অন্যটি সংকর জাত। খাঁটি জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ঐ অঞ্চলের সাথে তাল মিলিয়ে চলা, ঐ স্থানের সহজপ্রাপ্য খাদ্য গ্রহণ করা। তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশের খাঁটি জাতের মুরগির চেয়ে হোয়াইট লেগহর্ন, রোড আইল্যান্ড, নিউ হ্যাম্পশায়ার, লাইট সাসেক্স অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদনকারী। খাঁটি জাতের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণে সংকরজাত মুরগি তৈরি হয়। বছরে প্রায় ৩০০টি ডিম প্রদান এবং এক-দুই মাসের মধ্যে দুই কেজি ওজন লাভ এই জাতের বৈশিষ্ট্য। হাঁসের ক্ষেত্রে ডিমের জন্য গ্রহণযোগ্য দেশি পাতিহাঁস, নাগেশ্বরী, খাকী ক্যাম্ববেল, জিনডিং, ইন্ডিয়ান রানার ইত্যাদি। আবার মাংসের জন্য পেকিন, মাসকোভি, এলিসবেরি, রাজহাঁস পালন করা হয়।

error: Content is protected !!