দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। সাধারণত ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে একজন নারীর মাসিক হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে দুই মাসের বেশি সময় ধরে মাসিক নাও হতে পারে।
দুই মাস মাসিক না হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:
১. গর্ভধারণ: এটি মাসিক বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
২. মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, যার ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩. দ্রুত ওজন পরিবর্তন: হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন কমালে বা বাড়লে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তিত হতে পারে এবং মাসিক বন্ধ হতে পারে।
৪. অতিরিক্ত ব্যায়াম: খুব বেশি বা তীব্র ব্যায়াম করলে শরীরের ফ্যাট কমে যায়, যা হরমোন উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে এবং মাসিক বন্ধ করতে পারে।
৫. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): এটি একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যার কারণে ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হয় এবং মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৬. থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত বা কম কার্যকারিতা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
৭. হরমোন জনিত গর্ভনিরোধক: কিছু গর্ভনিরোধক পিল, ইনজেকশন বা ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারের ফলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৮. পেরিমেনোপজ: মেনোপজের আগের বছরগুলোতে (সাধারণত ৪০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত) হরমোনের ওঠানামার কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৯. কিছু ঔষধ: কিছু বিশেষ ঔষধ যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিসাইকোটিক বা কেমোথেরাপির কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
১০. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্য কোনো দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
যদি আপনার দুই মাস ধরে মাসিক না হয়, তবে কারণ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।