খাদ্য ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। দেহের বৃদ্ধি এবং বিকাশ, দেহের টিস্যুগুলোর ক্ষতিপূরণ কিংবা শক্তি উৎপাদন-এ ধরনের কাজের জন্য নিয়মিতভাবে আমাদের বিশেষ কয়েক ধরনের খাদ্যের প্রয়োজন হয়। আমাদের স্বাস্থ্য বহুলাংশে নির্ভর করে, যে খাদ্য আমরা খাই তার গুণগত মানের ওপর। খাদ্য আমাদের চেহারায়, কাজকর্মে, আচরণে ও জীবনের মানে পার্থক্য ঘটাতে পারে। শ্বসনক্রিয়ার সময় খাদ্যের ভেতরকার রাসায়নিক শক্তিসহ শক্তির বিভিন্ন রূপ আকারে তাপশক্তি হিসেবে মুক্ত হয়ে জীবদেহের জৈবিক ক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যেকটা জীব তার পরিবেশ থেকে প্রয়োজনমতো এবং পরিমাণমতো খাদ্য গ্রহণ করে। প্রতিটি খাদ্যই আসলে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ। এই জটিল খাদ্যগুলো বিভিন্ন উৎসেচকের সাহায্যে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে ভেঙে সরল খাদ্যে পরিণত হয়, এই প্রক্রিয়াকে পরিপাক বলে। পরিপাক হওয়া খাদ্য শোষিত হয়ে দেহকোষের প্রোটোপ্লাজমে সংযোজিত হয়, যাকে আত্তীকরণ বলে। পরিপাকের পর অপাচ্য খাদ্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে নির্গত হয়ে যায়।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-
- খাদ্য উপাদান ও আদর্শ খাদ্য পিরামিড ব্যাখ্যা করতে পারব;
- খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করতে পারব;
- স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাকৃতিক খাদ্য এবং ফাস্ট ফুডের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারব;
- ভিটামিনের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব;
- খনিজ লবণের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব;
- পানি ও আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা বর্ণনা করতে পারব;
- বডি মাস ইনডেক্সের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারব;
- খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার এবং এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া বলতে পারব;
- শরীরে তামাক ও ড্রাগসের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব;
- এইডস কী ব্যাখ্যা করতে পারব;
- শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।
- উন্নততর জীবনধারা, অধ্যায়-১
- জীবনের জন্য পানি, অধ্যায়-২
- হৃদযন্ত্রের যতকথা এবং অন্যান্য, অধ্যায়-৩
- নবজীবনের সূচনা, অধ্যায়-৪
- দেখতে হলে আলো চাই, অধ্যায়-৫
- পলিমার, অধ্যায়-৬
- অম্ল, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার, অধ্যায়-৭
- আমাদের সম্পদ, অধ্যায়-৮
- দুর্যোগের সাথে বসবাস, অধ্যায়-৯
- এসো বলকে জানি, অধ্যায়-১০
- প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ, অধ্যায় -১১