বহিঃশ্বসন হলো শ্বসন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে আমরা আমাদের শরীরে প্রবেশ করা কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত বাতাসকে বাইরে বের করে দেই। সহজ কথায়, বহিঃশ্বসন হলো শ্বাস ছাড়ার কাজ।
আমরা যখন শ্বাস নিই, তখন অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই অক্সিজেন রক্তে মিশে দেহের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়, যা শক্তি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু শক্তি উৎপাদনের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। এই কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বের করে দেওয়ার জন্যই আমাদের বহিঃশ্বসন করতে হয়। বহিঃশ্বসনের সময় ফুসফুস সংকুচিত হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত বাতাস নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে বাইরে বের হয়ে যায়। এইভাবে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
ফুসফুসের ভিতরের বায়ুর চাপ বেড়ে গিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গতকরণের মাধ্যমে মানবদেহ প্রতিনিয়ত যে শ্বাসকার্য চলতে থাকে তাকেই বহিঃশ্বসন বলে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, বহিঃশ্বসন হলো শ্বাসত্যাগের প্রক্রিয়া, যেখানে আমরা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বাইরে বের করে দেই। এই প্রক্রিয়াটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।