১. সাধু রীতি
- বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
- এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
- সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী।
- এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াশীল এ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।
২. চলিত রীতি
- চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি সে যুগের শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথিত ভাষা বা মুখের বুলি হিসেবে প্রচলিত ছিল, কালের প্রবাহে বর্তমানে তা অনেকটা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে।
- এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
- চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য এবং বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য বেশি উপযোগী।
- সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে।
সাধু ও চলিত রীতির মধ্যে মূল পার্থক্য
| বৈশিষ্ট্য | সাধু রীতি | চলিত রীতি |
|---|---|---|
| উৎস | সংস্কৃত | জনসাধারণের মুখের ভাষা |
| শব্দ | সংস্কৃত শব্দের প্রাধান্য | দেশি শব্দের প্রাধান্য |
| বাক্য গঠন | জটিল ও সুসংবদ্ধ | সহজ ও সরল |
| ব্যবহার | সাহিত্য, ধর্মীয় গ্রন্থ, আনুষ্ঠানিক লেখা | দৈনন্দিন কথাবার্তা, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন |
| উদাহরণ | আমি গৃহে গমন করিব | আমি বাড়ি যাব |