অসমোরেগুলেশন কাকে বলে?

অসমোরেগুলেশন হল জীবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোষ এবং দেহের তরলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের অসমোটিক চাপকে স্থির রাখা হয়। সহজ কথায়, এটি হল শরীরের জলের পরিমাণ এবং লবণের ঘনত্বকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখার প্রক্রিয়া।

অসমোরেগুলেশনের প্রক্রিয়া

অসমোরেগুলেশন বিভিন্ন অঙ্গ এবং প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে সম্পন্ন হয়। কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বক এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • কিডনি: কিডনি শরীরের অতিরিক্ত জল এবং বর্জ্য পদার্থকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়।
  • লিভার: লিভার শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং অসমোটিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • ফুসফুস: ফুসফুস শ্বাসক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের কার্বন ডাইঅক্সাইড বের করে দেয় এবং অক্সিজেন গ্রহণ করে।
  • ত্বক: ত্বক ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং জলের ক্ষতি রোধ করে।

অসমোরেগুলেশন সম্পর্কিত কিছু পরিভাষা

  • অসমোসিস: একটি দ্রাবক (যেমন জল) উচ্চ ঘনত্বের দ্রবণ থেকে নিম্ন ঘনত্বের দ্রবণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রবাহিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে অসমোসিস বলে।
  • অসমোটিক চাপ: একটি দ্রবণে যে চাপ প্রয়োগ করা হয় যাতে দ্রাবকের প্রবাহ বন্ধ হয় তাকে অসমোটিক চাপ বলে।

উদাহরণ: যখন আমরা খুব বেশি লবণ খাই, তখন শরীরের কোষ থেকে জল বের হয়ে যায় এবং আমরা তৃষ্ণার্ত বোধ করি। এই অবস্থায় কিডনি অতিরিক্ত লবণ এবং জলকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয় এবং অসমোটিক ভারসাম্য পুনরস্থাপিত হয়।

সারসংক্ষেপে, অসমোরেগুলেশন হল জীবদেহের একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

error: Content is protected !!