এপিলেপসি বা মৃগী হল একটি স্নায়বিক রোগ যা মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের কারণে হয়। এই অস্বাভাবিক কার্যকলাপের ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে খিঁচুনি, চেতনা হারানো বা অন্যান্য ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এপিলেপসির লক্ষণ
- খিঁচুনি: এটিই এপিলেপসির সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। খিঁচুনি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:
- টোনিক-ক্লোনিক খিঁচুনি: পুরো শরীর কাঁপতে থাকে, চেতনা হারিয়ে যায়।
- অবসন্ন খিঁচুনি: শরীরের কোনো একটি অংশ কাঁপতে থাকে।
- অবস্থাচ্যুত খিঁচুনি: চেতনা হারিয়ে যায়, কিন্তু শরীর কাঁপে না।
- চেতনা হারানো: খিঁচুনির সাথে সাথে চেতনা হারানোও হতে পারে।
- দেখার সমস্যা: আলো দেখা, বস্তু দ্বিগুণ দেখা ইত্যাদি।
- শোনার সমস্যা: কানে শব্দ করা, অদ্ভুত শব্দ শোনা ইত্যাদি।
- গন্ধ পাওয়া: অদ্ভুত গন্ধ পাওয়া।
- মানসিক পরিবর্তন: মেজাজ খিঁচুনি, বিষণ্নতা, ভয়।
এপিলেপসির কারণ
এপিলেপসির সঠিক কারণ সবসময় জানা যায় না। তবে কিছু কারণ হতে পারে, যেমন:
- মস্তিষ্কের আঘাত: মাথায় আঘাত, স্ট্রোক ইত্যাদি।
- মস্তিষ্কের সংক্রমণ: মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস ইত্যাদি।
- মস্তিষ্কের টিউমার: মস্তিষ্কের কোনো অংশে টিউমার হলে।
- জিনগত কারণ: পরিবারে এপিলেপসি থাকলে।
- অন্যান্য কারণ: মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা, মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালনের সমস্যা ইত্যাদি।
এপিলেপসির চিকিৎসা
- ঔষধ: এপিলেপসির চিকিৎসায় সাধারণত ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
- শল্যচিকিৎসা: কখনো কখনো শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে মস্তিষ্কের সেই অংশটি অপসারণ করা হয় যা খিঁচুনির কারণ।
- জীবনযাত্রার পরিবর্তন: নিয়মিত ঘুম, স্ট্রেস কমানো, অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়ানো ইত্যাদি।
যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো এপিলেপসির লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই একজন নিউরোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।