পলিমারের বৈশিষ্ট্যসমূহ
যদিও পলিমারের ধর্ম তার গঠনাকৃতি ও রাসায়নিক সংযুক্তির উপর নির্ভরশীল তা সত্ত্বেও সমস্ত পলিমারের মধ্যে নিম্নলিখিত সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
১। পলিমারগুলো উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট হয়ে থাকে।
২। পলিমারগুলো সাধারণত কঠিন হয়। তবে এগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক হলো নরম ও নমনীয় আবার কিছু সংখ্যক হল শক্ত ও দৃঢ়।
৩। পলিমার পদার্থগুলোর ঘনত্ব ধাতব পদার্থের তুলনায় অনেক কম।
৪। পলিমারের তৈরি জিনিস হালকা হয়।
৫। পলিমার সাধারণত বর্ণহীন বা সাদাটে হয়। এগুলো আবার স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ হতে পারে।
৬। পলিমারের নির্দিষ্ট কোন গলনাঙ্ক থাকে না, তবে তাপমাত্রার একটি বিস্তৃত সীমার মধ্যে এদের গলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
৭। অধিকাংশ পলিমারের ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ গলনাঙ্কের চেয়ে এমন একটি নিম্নতর তাপমাত্রা থাকে, যে তাপমাত্রার উপরে পলিমার গুলো রবারের মতো নরম ও প্রসারণশীল কিন্তু, সে তাপমাত্রার নীচে পলিমারগুলো শক্ত, ভঙ্গুর ও কাঁচের মতো হয়। এ তাপমাত্রাকে পলিমারের কাঁচ অবস্থান্তর তাপমাত্রা বলে।
৮। পলিমারগুলোর গলনাঙ্ক সাধারণত 100-300°C এর মধ্যে হয়, যা ধাতু বা সিরামিক পদার্থের গলনাঙ্কের তুলনায় অনেক কম। ছাঁচ-নির্মাণ পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিরাট সুবিধা, কারণ এর ফলে অল্প তাপশক্তি খরচ করে পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
৯। পলিমারগুলো সাধারণত পানিতে অদ্রবণীয় কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয়।
১০। পলিমার দ্রবণের সান্দ্রতা উচ্চমানের হয়। কোন অজ্ঞাত পদার্থের খুব অল্প পরিমাণ নিয়ে, উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে দ্রবণের সান্দ্রতা পরিমাপ করলে যদি দেখা যায় ওই দ্রবণের সান্দ্রতা দ্রাবকের তুলনায় অনেক বেশি তাহলে বুঝতে হবে পদার্থটি পলিমার জাতীয়। কোন অজানা পদার্থ পলিমার কি না তা জানার এটি হল সহজতম উপায়।