মানুষ ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণির প্রাণীদের দেহে যেসব তন্ত্র আছে, তার মধ্যে রক্ত সংবহনতন্ত্র উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই তন্ত্রের মাধ্যমে দেহের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের রসদ সারা শরীরে পরিবাহিত হয়। রক্ত সংবহনতন্ত্র গঠিত হয়েছে রক্ত, হৃৎপিণ্ড ও রক্তবাহিকা বা রক্তনালি নিয়ে। হৃৎপিণ্ড হচ্ছে হৃৎপেশি দিয়ে তৈরি ত্রিকোণাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মতো একটি অঙ্গ। এর সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে সারা দেহে রক্ত সরবরাহিত হয়। আকার, আকৃতি ও কাজের ভিত্তিতে রক্তবাহিকা তিন রকম-ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা। রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতর দিয়ে সঞ্চালনের জন্য হৃৎপিণ্ড মানব ও অন্য সকল প্রাণীদেহে পাম্পের মতো কাজ করে। ধমনি দিয়ে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয়। সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে শিরার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। ধমনি ও শিরার সংযোগস্থল জালিকাকারে বিন্যস্ত হয়ে কৈশিক জালিকা গঠন করে। আমরা এ অধ্যায়ে রক্ত এবং রক্ত সঞ্চালনের যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারব।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-
- রক্তের উপাদান এবং এদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব;
- রক্তের গ্রুপের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারব;
- রক্তের স্থানান্তরের নীতি ব্যাখ্যা করতে পারব;
- রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ব্যাখ্যা করতে পারব;
- রক্তে বিঘ্নতা/বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ এবং এর ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারব;
- শরীরে রক্ত সঞ্চালন কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব;
- আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারব;
- রক্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব;
- শরীরে রক্ত সঞ্চালনে কোলেস্টেরলের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারব;
- কোলেস্টেরলকে প্রত্যাশিত সীমায় রাখার প্রয়োজনীয়তা ও উপায় ব্যাখ্যা করতে পারব;
- রক্তে সুগারের ভারসাম্যতার কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় ব্যাখ্যা করতে পারব;
- হৃদ্যন্ত্রকে ভালো রাখার উপায় বর্ণনা করতে পারব।
- উন্নততর জীবনধারা, অধ্যায়-১
- জীবনের জন্য পানি, অধ্যায়-২
- হৃদযন্ত্রের যতকথা এবং অন্যান্য, অধ্যায়-৩
- নবজীবনের সূচনা, অধ্যায়-৪
- দেখতে হলে আলো চাই, অধ্যায়-৫
- পলিমার, অধ্যায়-৬
- অম্ল, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার, অধ্যায়-৭
- আমাদের সম্পদ, অধ্যায়-৮
- দুর্যোগের সাথে বসবাস, অধ্যায়-৯
- এসো বলকে জানি, অধ্যায়-১০
- প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ, অধ্যায় -১১