পলিমার কাকে বলে?
পলিমার হলো এক ধরনের বৃহৎ অণু (ম্যাক্রোমোলিকুল), যা অনেকগুলো ক্ষুদ্র অণু বা মনোমার (monomer) পরস্পর যুক্ত হয়ে তৈরি হয়। এই ক্ষুদ্র অণুগুলো একসাথে জুড়ে একটি দীর্ঘ শৃঙ্খল তৈরি করে, যেটিকে পলিমার বলে। প্রোটিন, সেলুলোজ, এবং নিউক্লিক অ্যাসিডের মতো অনেক প্রাকৃতিক পদার্থ পলিমার।
পলিমার (Polymer) শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘পলি’ (poly) অর্থ বহু বা অনেক এবং ‘মেরোস’ (meros) অর্থ অংশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ পলিমার বলতে একই ধরনের অনেকগুলো ছোট ছোট অংশ যুক্ত হয়ে যে উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট বৃহদাকার অণু তৈরি হয় তাকে বোঝায়।
এককথায়, বহু সংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু পর পর যুক্ত হয়ে পলিমার অণু গঠন করে থাকে। যে ক্ষুদ্র অণু যুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি হয় তাকে মনোমার (Monomer) বলা হয়। যেমন : A যদি একটি মনোমার অণু হয় তবে তার পলিমার হবে –

এক্ষেত্রে n এর মান 10,000 থেকে কয়েক লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। উদাহরণ: ইথিলিন একটি মনোমার যা পর পর যুক্ত হয়ে পলিইথিলিন বা পলিথিন নামক পলিমার তৈরি হয়।

পলিমার সাধারণত দুই প্রকার। যথাঃ
ক) প্রাকৃতিক পলিমার ও
খ) কৃত্রিম পলিমার।
ক) প্রাকৃতিক পলিমারঃ সাধারণভাবে প্রাকৃতিক উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ ও প্রাণি থেকে যে সমস্ত পলিমার পাওয়া যায় তাদেরকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে। যেমন- প্রাকৃতিক রাবার, স্টার্চ, তুলা, রেশম, পশম, সিল্ক, উল, পাট ইত্যাদি।
খ) কৃত্রিম পলিমারঃ পরীক্ষাগারে বা শিল্প-কারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করে যে সমস্ত পলিমার পাওয়া যায় তাদেরকে কৃত্রিম পলিমার বলে। যেমন: পলিইথিলিন, পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC), পলিস্ট্যারিন, টেফলন, টেরিলিন, নাইলন ইত্যাদি।