- যে সহে, সে রহে, ভাবসম্প্রসারণ
- স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। ভাবসম্প্রসারণ
- আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য, ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: শিক্ষা মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ। স্বশিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে শিক্ষিত ও মননশীল করে গড়ে তুলতে পারে।
সম্প্রসারিত ভাব: শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ডস্বরূপ। শিক্ষাই জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেয়। শিক্ষা ব্যতীত ব্যক্তি তথা জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। শিক্ষার্থী তার মেধা আর পরিশ্রম দ্বারাই শিক্ষিত হতে পারে। এখানে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেননা, তিনি শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত হতে সাহায্য করেন, দিকনির্দেশনা দেন। তবে শিক্ষকের এ সাহায্য একটা পর্যায় পর্যন্ত সীমিত। এ পর্যায় অতিক্রম করার দায়িত্ব একান্তভাবেই শিক্ষার্থীর এবং সে ক্ষেত্রে সফল হয়ে ওঠাই হলো সুশিক্ষিত হয়ে ওঠার নামান্তর। জন্মের পর থেকেই মানুষ তার পরিবার, পরিবেশ, আত্মীয়-পরিজন থেকে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে এবং একটা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করে সার্টিফিকেট লাভ করে। কিন্তু এই সার্টিফিকেট কিংবা পরীক্ষায় পাশ করাই প্রকৃত শিক্ষা নয়। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞানচর্চার এবং জ্ঞান আহরণের পথকে অনেক সময় সুগম করে তুললেও জ্ঞানের পূর্ণতা আসে না। সত্যিকারের জ্ঞান আত্মস্থ করার জন্য প্রয়োজন আত্মপ্রয়াস। জ্ঞান আত্মস্থ করতে হলে সাধনা করতে হয়। এজন্য দরকার একাগ্রতা ও প্রচুর পরিশ্রম। স্বীয় চেষ্টা দ্বারাই মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তিকে পরিচালিত করে স্বকীয়তা ও মৌলিকতার উন্মেষ ঘটিয়ে শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরে বিচরণ করতে পারে। এভাবে মানুষ হয়ে ওঠে সুশিক্ষিত।
মন্তব্য: সুশিক্ষিত ব্যক্তির মন কুসংস্কারমুক্ত ও মুক্তবুদ্ধির আলোকে উদ্ভাসিত। যিনি পরিশীলিত রুচিবোধে নম্র ও উদার- এ সুশিক্ষা তাঁর স্বীয় সাধনার দ্বারা অর্জিত।