মূলভাব: মানুষের পরিচয় ফুটে ওঠে তার কাজের মধ্য দিয়ে। কাজের মাধ্যমেই একজন মানুষ সমাজে বড়ো হয়ে উঠতে পারে। কথার ফুলঝুরি নয়, অক্লান্ত পরিশ্রমই কেবল একজন মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
সম্প্রসারিত ভাব: সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা অকারণে কথা বলে এবং আলস্যে সময় কাটায়। তারা নিজেরা তো কাজ করেই না বরং বিনা কারণে অন্যের কাজের সমালোচনা করে। এরা সমাজের কোনো উপকারে আসে না। উপরন্তু কর্মোদ্যমী ব্যক্তিদের কাজকেও বাধাগ্রস্ত করে। এরা পরিশ্রম করতে চায় না অথচ পরিশ্রমই উন্নয়নের চাবিকাঠি। পৃথিবীর সব দেশেই শ্রমকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। বরণীয় ব্যক্তিদের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাঁরা কর্ম ও নিষ্ঠার দ্বারাই জীবনে সফলতা লাভ করেছেন। বাধাবিঘ্নকে উপেক্ষা করে কর্মোদ্যম ও শ্রমের দ্বারাই তাঁরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। তাঁদের ঐকান্তিক সাধনা, নিরলস শ্রম ও কঠোর অধ্যবসায় মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিয়েছে। আমাদেরকেও তাঁদের পথ অনুসরণ করে কর্মোদ্যমী হতে হবে। দেশ-জাতি ও মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য: কেবল অক্লান্ত পরিশ্রমই মানুষকে সাফল্য এনে দেয়। তাই কথায় নয়, কাজে পারদর্শী হয়ে ওঠার চেষ্টায় ব্রতী হতে হবে।