হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো গর্ভধারণ। তবে গর্ভধারণ ছাড়াও আরও কিছু কারণে পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে, যেমন:

শারীরিক কারণ (Physical Reasons)

  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: থাইরয়েড হরমোন বা প্রোল্যাকটিন হরমোনের তারতম্য হলে পিরিয়ড অনিয়মিত বা বন্ধ হতে পারে।
  • ওজন পরিবর্তন: হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে গেলে বা বেড়ে গেলে শরীরের হরমোন উৎপাদন প্রভাবিত হয়, যা পিরিয়ড বন্ধ করে দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত strenuous exercise বা কঠোর শারীরিক পরিশ্রম হরমোন উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে।
  • রোগ: কিছু রোগ, যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) অথবা থাইরয়েডজনিত সমস্যা, পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • কিছু ওষুধের প্রভাব: কিছু অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট বা জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি হঠাৎ করে খাওয়া বন্ধ করলে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।

মানসিক কারণ (Mental Reasons)

  • মানসিক চাপ: তীব্র মানসিক চাপ বা স্ট্রেস মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসকে প্রভাবিত করে, যা পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
  • জীবনযাত্রার পরিবর্তন: ঘুমের অভাব বা জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তনও শরীরের স্বাভাবিক ছন্দকে বিঘ্নিত করতে পারে।

অন্যান্য কারণ (Other Reasons)

  • বয়স: বয়ঃসন্ধিকাল বা মেনোপজের (Menopause) কাছাকাছি সময়ে পিরিয়ড অনিয়মিত বা বন্ধ হওয়া স্বাভাবিক।
  • স্তনদান: স্তন্যদানকারী মায়েদের মধ্যে প্রোল্যাকটিন হরমোনের উচ্চ মাত্রার কারণে পিরিয়ড বন্ধ থাকতে পারে।

যদি আপনার পিরিয়ড হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় এবং আপনি চিন্তিত হন, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, সঠিক কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসা প্রয়োজন।

error: Content is protected !!