গ্রীষ্মকালে প্রকৃতি রঙিন হয়ে ওঠে নানা রকম ফুলে। তীব্র রোদ ও উষ্ণতার মধ্যেও এই ফুলগুলো তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখে এবং আমাদের দিনকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। চলুন জেনে নিই গ্রীষ্মকালে কোন কোন ফুল ফোটে:
কয়েকটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন ফুল:
- কৃষ্ণচূড়া: গ্রীষ্মের প্রতীক হিসেবেই পরিচিত কৃষ্ণচূড়া। এর লাল রঙের ফুল গাছটাকে আগুনের মতো জ্বলজ্বল করতে দেখায়।
- সোনালু: গোল্ডেন শোয়ার নামেও পরিচিত এই ফুলের সোনালি রঙ যে কারো মন কাড়বে।
- রাধাচূড়া: কৃষ্ণচূড়ার মতোই লাল রঙের এই ফুল গ্রীষ্মের উষ্ণতায় আরও বেশি করে ফোটে।
- গুস্তাভিয়া: বড় বড় লাল ফুলের এই গাছ গ্রীষ্মে বাগানে একটি আকর্ষণীয় উপাদান হয়ে ওঠে।
- কাঠগোলাপ: এই ফুলের সুগন্ধ এবং সৌন্দর্য দুইই আছে। গ্রীষ্মে বাগানে কাঠগোলাপের গাছ থাকলে বাড়ির আশেপাশে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে পড়ে।
- ডুলিচাপা: ছোট ছোট সাদা ফুলের এই গাছ গ্রীষ্মে বাগানে একটি সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে।
- উদয়পদ্ম: পুকুরে ফোটা এই ফুল গ্রীষ্মের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি উদাহরণ।
- মধুমঞ্জুরি: এই ফুলের মিষ্টি সুবাস মধুমক্ষিকাকে আকর্ষণ করে।
- কনকচূড়া: এই ফুলের সোনালি রঙ গ্রীষ্মের আকাশের মতোই উজ্জ্বল।
- ঝুমকোলতা: এই লতার ফুল গাছের ডালে ঝুলে থাকে এবং একটি সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে।
এ ছাড়াও গ্রীষ্মে অন্যান্য অনেক ফুল ফোটে, যেমন:
- জারুল
- হলুদ গন্ধ
- কৃষ্ণচূড়া
- জিনিয়া
- করবি
- সূর্যমুখী
- গাঁদা
- কসমস
- গুলাচ
- কামিনী
- মাধবী লতা
- মধু মালতী
- কুন্দ
- জুঁই ফুল
- দোলনচাপা
- নয়নতারা
- দোপাটি
- গোলাপ
- বেলি
গ্রীষ্মকালীন ফুলের কিছু বিশেষত্ব:
- এই ফুলগুলো সাধারণত উজ্জ্বল রঙের হয়।
- অনেক ফুলেরই মিষ্টি সুবাস থাকে।
- এই ফুলগুলো তীব্র রোদ ও উষ্ণতায় টিকে থাকতে পারে।
- অনেক ফুলই পোকামাকড়দের জন্য খাদ্য ও আশ্রয় স্থল হিসেবে কাজ করে।
গ্রীষ্মকালীন ফুলের ব্যবহার:
- এই ফুলগুলো বাগান সাজাতে ব্যবহৃত হয়।
- কিছু ফুলের পাপড়ি খাবারে ব্যবহৃত হয়।
- অনেক ফুলের থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়।
- কিছু ফুলের থেকে সুগন্ধি তৈরি করা হয়।