নদীর গতিপথে হঠাৎ জলতলের পতনকে বলে জলপ্রপাত। প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে জলপ্রপাতকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথাঃ
ক) র্যাপিডঃ উচ্চ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা পাশাপাশি উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে নদীর অসম ক্ষয়কার্যের ফলে সিঁড়ির মতো ছোটো ছোটো ধাপের সৃষ্টি হয়। ফলে নদী লাফিয়ে লাফিয়ে অগ্রসর হয়। এই ধরনের জলপ্রপাতকে র্যাপিড বলে। যেমন: ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে প্রবাহিত নদীগুলিতে অনেক র্যাপিড দেখা যায়। এ ছাড়া আফ্রিকার জাইরে (Zaire) নদী পর পর এইরূপ 32টি খরস্রোতের সৃষ্টি করেছে এবং এগুলি একত্রে লিভিংস্টোন প্রপাত নামে পরিচিত।
খ) ক্যাটারাক্টঃ র্যাপিড যখন বৃহৎ আকার ধারণ করে বিপুল পরিমাণ জলরাশি সংগ্রহ করে এবং প্রবল গতিতে নীচের দিকে নেমে আসে তখন সেই জলপ্রপাতকে ক্যাটারাক্ট বলে। যেমন: আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এই ধরনের ক্যাটারাক্ট সৃষ্টি হয়েছে।
গ) কাসকেডঃ র্যাপিড যখন আকৃতিতে আরও ছোটো হয় এবং নদী যখন খাড়া ঢাল বরাবর বিভক্ত হয়ে একাধিক ছোটো ছোটো জলপ্রপাত সৃষ্টি করে প্রবাহিত হয়, তখন তাকে কাসকেড বলে। যেমন: রাঁচির জোনহা জলপ্রপাত ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ‘tears of the glen’ এই প্রকার জলপ্রপাত।