সংজ্ঞাঃ পার্বত্য অঞ্চলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রই নদীপথের দু-পাশে শৈলশিরাগুলি এমনভাবে অবস্থান করে যে, নদীগুলি তাদেরকে এড়িয়ে আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হতে বাধ্য হয়। এদের দেখলে মনে হয় যে নদীর দুই দিকের পাহাড়গুলি অভিক্ষিপ্তাংশরূপে নদী উপত্যকায় নেমে এসে পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করেছে। এইরূপ শৈলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশকে আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরা বলে।
আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরার বৈশিষ্ট্য
১) নদীর গতিপথে এইরূপ আবদ্ধ শৈলশিরার অবস্থানের জন্য নদীপ্রবাহ চোখের আড়ালে চলে যায়।
২) এই জাতীয় শিলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশ কুমিরের দাঁতের মতো বিন্যস্ত থাকে বলে এগুলিকে কুম্ভীর দন্তবিন্যাসী অভিক্ষিপ্তাংশ বা আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত অভিক্ষিপ্তাংশ বলে।
৩) এইরূপ অভিক্ষিপ্তাংশগুলির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে।
উদাহরণঃ তিস্তা, মহানন্দা, তোর্সা এবং হিমালয় পর্বত থেকে নেমে আসা অন্যান্য নদীগুলির গতিপথে আবদ্ধ শৈলশিরা দেখা যায়।