কবিতা কাকে বলে

পদ্যে, যা লিখিত হয় তাকেই আমরা ‘কবিতা’ বলে থাকি। কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো- মহাকাব্য ও গীতিকবিতা। 
বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদ-বধ’ কাব্যে। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধবিগ্রহের কোনো কাহিনী অবলম্বন করে। ভারতবর্ষ উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনীর একটি হলো ‘রামায়ণ’ আর অন্যটি ‘মহাভারত’।

ছন্দোবদ্ধ ভাষায় যে সকল পদ্য লেখা হয় তাকে কবিতা বলে।

মানব মনের ভাবনা-কল্পনা যখন অনুভূতি রঞ্জিত যথাবিহীত শব্দসম্ভারে বাস্তব সুষমামন্ডিত চিত্রাত্মক ও ছন্দোময় রূপ লাভ করাকেই কবিতা বলে।

বাংলা কবিতায় বিশেষ দুটি ধারার জনক কাজী নজরুল ইসলাম ও জসীম উদ্দীন। প্রথম জন আমাদের সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ ও দ্বিতীয় জন ‘পল্লি−কবি’ হিসেবে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন। নজরুলের কবিতায় যে উদ্দীপ্ত কণ্ঠস্বর ও দৃপ্ত ভাবের দেখা মেলে তা পূর্বে বাংলা কাব্যে ছিল না। জসীম উদ্দীনের ‘নকশীকাঁথার মাঠ’ ও ‘সেজনবাদিয়ার ঘাট’ জাতীয় কোনো কাব্য পূর্বে কেউ রচনা করন নি এবং এক্ষেত্রে তাঁর অনুসারীও কেউ নেই।

কবিরা কী করেন?

কবিরা শব্দকে খুব ভালোবাসেন। শব্দকে আদর করে সুখ পান। তারা গোলাপের মতো সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, “চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন। তাঁরা একটি শব্দের পাশে আরেকটি শব্দ বসিয়ে কবিতা লেখেন।

কবি হতে হলে কী করতে হবে?

কবি হতে হলে শব্দের কথা ভাবতে হবে, শব্দের খেলা খেলতে হবে এবং শব্দের রং চিনতে হবে। এছাড়া শব্দের সুর ও স্বর চেনা, শব্দের সুগন্ধ উপলব্ধি করাও কবি হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কবিতার মাধ্যমে কী কী করা যায়?

কবিতার মাধ্যমে অনেক বিষয় ও ধারণার উপস্থাপন করা যায়। সুখ, দুঃখ, রাগ, অভিমান, হতাশা, আকাঙ্ক্ষা, বিদ্রোহ, বিদ্বেষ ইত্যাদি সবরকম অনুভূতি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। তবে কবিতায় অবশ্যই নতুনত্ব থাকতে হবে এবং শব্দ ও ছন্দের মিল থাকতে হবে।

error: Content is protected !!