তরঙ্গ কাকে বলে? তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যসমূহ | তরঙ্গের প্রকারভেদ

তরঙ্গ কাকে বলে?

যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোনো জড় মাধ্যমের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে।

পুকুরের স্থির পানিতে একটি ঢিল ছুড়ে মারা হলো। ঢিলটি যখন পানিতে আঘাত করে তখন ঐ স্থানের পানির কণাগুলো আন্দোলিত হয়। এই আন্দোলিত কণাগুলো পার্শ্ববর্তী স্থির কণাগুলোকে আন্দোলিত করে। এভাবে কণা হতে কণাতে স্থানান্তরিত হয়ে আন্দোলন অবশেষে পুকুরের কিনারায় গিয়ে পৌছায়। পানির কলাগুলো শুধু উপর নিচে ওঠানামা করে কিন্তু সামনের দিকে অগ্রসর হয় না।

প্রত্যেক কণার এই ধরনের গতির ফলে যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন পানির উপর দিয়ে চলে যায় তাকেই তরঙ্গ বলে।

পানিতে আন্দোলনের কারণে পানির কণাসমূহে যে যান্ত্রিক শক্তির সৃষ্টি হয় তা কম্পনের মাধ্যমে একস্থান হতে অন্যস্থানে সঞ্চালিত হয়। 

সুতরাং তরঙ্গ দ্বারা শক্তি একস্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়।


তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ

  • মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দন গতির ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কিন্তু কণাগুলোর স্থায়ী স্থানান্তর হয় না।

  • যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন।

  • তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চালন করে।

  • তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।

  • তরঙ্গের প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটে।

তরঙ্গের প্রকারভেদ

তরঙ্গ দুই প্রকার। যথাঃ

১) অনুপ্রস্থ তরঙ্গ এবং 

২) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url