গ্যাসে গতিতত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্যগুলো লিখ।

গ্যাসের গতিতত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্যগুলো লিখ।

গ্যাসের গতিতত্ত্ব কতগুলি মৌলিক স্বীকার্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। ১৮৫৭ সালে ক্লসিয়াস  প্রথম এই স্বীকর্যিগুলি বর্ণনা করেন। স্বীকার্যগলি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১) প্রত্যেক গ্যাস অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুর সমন্বয়ে গঠিত। কোন একটি গ্যাসের সকল অণু একই রকম; বিভিন্ন গ্যাসের অণু বিভিন্ন। অণুগুলো এক বা একাধিক পরমাণু নিয়ে গঠিত।

২) গ্যাস অণুগলি হচ্ছে ভরবিন্দু বা ভরকণা। এদের আয়তন গ্যাস পাত্রের আয়তনের তুলনায় অত্যন্তনগণ্য। অণুগুলির আকার এদের মধ্যকার দূরত্বের তুলনায় নগন্য।

৩) গ্যাসর অণুগুলি সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক দৃঢ় গোলক এবং এদের মধ্যকার কোন আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল নেই।

৪) অণুগুলি বিক্ষিপ্তভাবে ছুটাছুটি করছে। এদের বেগের মান বিভিন্ন।

৫) অণুগুলি পরস্পরের সাথে এবং পাত্রের দেয়ালের সাথে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের মধ্যবর্তী সময়ে অণুগুলি সমবেগে সরলরেখায় চলে। সংঘর্ষকাল খুবই সামান্য। দুটি সংঘর্ষের মধ্যবর্তী সময়ে একটি অণু যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে মুক্তপথ বলে।

৬) যেহেতু অণুগুলি সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক গোলক এরা নিউটনের গতিসূত্র মেনে চলে। তাই সংঘর্ষের পূর্বে ও পরে এদের ভরবেগ ও গতিশক্তি সংরক্ষিত থাকে। পাত্রের দেয়ালের সাথে অণুগুলির ধাক্কার দরুনই চাপের সৃষ্টি হয়।

যে সব গ্যাস উপরোক্ত স্বীকার্যগুলি মেনে চলে সে সব গ্যাসকে আদর্শ গ্যাস বলা হয়। কিন্তু সবক্ষেত্রে বাস্তব গ্যাসের আচরণ উপরোক্ত নিয়মানুযায়ী হয় না।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url