ভাইরাস নামকরণ করা হয় কত সালে?

ভাইরাস (Virus) নামকরণ: ভাইরাস শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ বিষ। এই নামটি ১৮৯৮ সালে মার্টিনাস বেইজেরিংক নামক একজন ডাচ বিজ্ঞানী ব্যবহার করেন। তিনি তামাক গাছের মোজাইক রোগ নিয়ে গবেষণা করার সময় এমন কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু আবিষ্কার করেন যা ব্যাকটেরিয়া ফিল্টার দিয়েও আটকাতে পারছিল না।

ভাইরাস আবিষ্কারের পর এর নামকরণ করা হয়। তবে, ভাইরাসের ইতিহাস আরও পুরনো। ১৮৯২ সালে দিমিত্রি ইভানভস্কি তামাক গাছের একটি রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সন্ধান পান, যা ব্যাকটেরিয়া নয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাইরাসের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।

ভাইরাস সম্পর্কে কিছু তথ্য:

  • ভাইরাস খুবই ছোট এবং সরল গঠনযুক্ত জীব।
  • এরা জীবন্ত কোষের বাইরে একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকে, কিন্তু কোষের ভিতরে প্রবেশ করার পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করতে শুরু করে।
  • ভাইরাস বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন – সর্দি, জ্বর, এইডস, ক্যান্সার ইত্যাদি।
  • ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে, এবং বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাইরাস আবিষ্কার করছেন।

ভাইরাস সম্পর্কিত FAQ

ভাইরাসের সংজ্ঞা কি?
উত্তর: ভাইরাস হলো অতি ক্ষুদ্র এবং সরল গঠনযুক্ত অণুজীব, যা জীবন্ত কোষের বাইরে নিষ্ক্রিয় থাকে কিন্তু কোষের ভিতরে প্রবেশ করে সক্রিয় হয় এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে।

ভাইরাস কত প্রকার?
উত্তর:
ভাইরাস মূলত দুই প্রকার – ডিএনএ ভাইরাস এবং আরএনএ ভাইরাস। এদের গঠন এবং কার্যকারিতা ভিন্ন।

ভাইরাস কিভাবে রোগ সৃষ্টি করে?
উত্তর:
ভাইরাস যখন কোনো জীবন্ত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে, তখন সেটি কোষের নিজস্ব প্রক্রিয়া ব্যবহার করে নিজেদের সংখ্যাবৃদ্ধি করে। এর ফলে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়।

ভাইরাসের সংক্রমণ কিভাবে হয়?
উত্তর:
ভাইরাস বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে, যেমন – হাঁচি-কাশির মাধ্যমে, দূষিত খাবার বা জলের মাধ্যমে, কীটপতঙ্গের মাধ্যমে, অথবা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে।

ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে কিভাবে বাঁচা যায়?
উত্তর:
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, যেমন – নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এবং সময় মতো টিকা নেওয়া জরুরি।

ভাইরাস নামকরণ করা হয় কত সালে?

ক) ১৯৭১ সালে
খ) ১৯৮১ সালে
গ) ১৯৮৩ সালে
ঘ) ১৯৮৯ সালে

সঠিক উত্তর : গ) ১৯৮৩ সালে

error: Content is protected !!