সাধারণভাবে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে মানুষ যে সব বৈধ অর্থনৈতিক কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে তাকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা, হাঁস মুরগী পালন করা, সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলা যায় না। কিন্তু যখন কোনো কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি ফলায় তা ব্যবসায় বলে গণ্য হবে। তবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যবসায় বলে গণ্য হবে যদি সেগুলো দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত হয়।
সুতরাং যে কাজটিকে আমরা ব্যবসায় বলবো তা চারটি মৌলিক উপাদান আছে। যেমন-
ক. অর্থনৈতিক কাজ
খ. মুনাফার উদ্দেশ্য
গ. ঝুঁকি
ঘ. বৈধতা
এই চারটি উপাদান না থাকলে কোন কাজকে ব্যবসায় বলা যাবে না।
ব্যবসায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা একে অন্য সব পেশা থেকে আলাদা করেছে। ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনোভাব থাকতে হবে।
ব্যবসায়ের প্রকারভেদ
বর্তমানে ব্যবসায় শুধু পণ্যদ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পণ্য-দ্রব্য ও সেবা-কর্ম উৎপাদন, পণ্য-দ্রব্য বিনিময় ও এর সহায়ক কাজের সমষ্টিকে ব্যবসায় বলে। পণ্য-দ্রব্য বিনিময় সংক্রান্ত সহায়ক কাজে পরিবহন, বিমা, ব্যাংকিং গুদামজাতকরণ ও বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক ব্যবসাকে প্রধানতঃ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
ক. শিল্প
- প্রজনন শিল্প
- নিষ্কাশন শিল্প
- নির্মাণ শিল্প
- সেবামূলক শিল্প
- উৎপাদন শিল্প
খ. বাণিজ্য
- পণ্য বিনিময় (ক্রয়-বিক্রয়)
- পরিবহন গুদামজাতকরণ
- ব্যাংকিং
- বিমা
- বিজ্ঞাপন
গ. প্রত্যক্ষ সেবা
- আইনবৃত্তি
- ডাক্তারি
- প্রকৌশলবৃদ্ধি
- অডিট ফার্ম