- আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো হবে, ভাবসম্প্রসারণ
- পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়া চলো তাহাদের বাণী, ভাবসম্প্রসারণ
- লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড, ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: সৃষ্টিজগতে সবকিছুই নিজ নিজ পরিবেশে স্বাভাবিক সৌন্দর্যে অনুপম হয়ে ওঠে। পরিবেশের সঙ্গে রয়েছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর স্বাভাবিক সম্পর্ক। উপযুক্ত পরিবেশ থেকে আলাদা করা হলে তার সে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ ও অন্য সব প্রাণীর বেড়ে ওঠা ও বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন যথার্থ পরিবেশ। বনের প্রাণী বনেই পায় জীবনের স্বতঃস্ফূর্ততা। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজস্ব পন্থায় তারা প্রকৃতির সঙ্গে জীবনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের জীবনপদ্ধতি ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে অরণ্যের পরিবেশের সঙ্গে সংগতি রেখে। প্রাকৃতিক পরিবেশেই এরা সুন্দর ও মানানসই। আলো-ঝলমল নাগরিক পরিবেশে এরা স্বাভাবিক স্বাচ্ছন্দ্য ও সৌন্দর্য হারায়। একইভাবে শিশুর সৌন্দর্যও সর্বাধিক মহিমা পায় মায়ের কোলে। মায়ের কোলই শিশুর নিরাপদ আশ্রয়। শিশু যখন মাতৃসান্নিধ্যে থাকে, তখন তার মুখের অনাবিল হাসি ও সহজ প্রশান্তি এক অনুপম সৌন্দর্য হয়ে দেখা দেয়। মায়ের কোল থেকে শিশুকে বিচ্ছিন্ন করা হলে সে কেবল সৌন্দর্যই হারায় না বরং নিরাপদ আশ্রয় হারানোর ভয়ে ভীতও হয়। তার মুখে বেদনার ছাপ পড়ে। স্বাভাবিক জীবন ও পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে প্রতিটি প্রাণীই তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়।
মন্তব্য: জীবনের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক যেমন অবিচ্ছিন্ন, তেমনি স্ব-স্ব পরিবেশে জীবসত্তা পায় তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য।