- ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, ভাবসম্প্রসারণ
- যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ, ভাবসম্প্রসারণ
- লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড, ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: মানুষ প্রয়োজন ছাড়া এ পৃথিবীতে কোনো কিছুই উদ্ভাবন করেনি। প্রয়োজনই মানুষের সব আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের মূল প্রেরণা। পৃথিবীতে মানুষ প্রয়োজনের তাগিদেই উদ্ভাবন করেছে বিচিত্র সব জিনিস।
সম্প্রসারিত ভাব: বর্তমানে যে সুন্দর পৃথিবী, আদি অবস্থায় এর রূপ এমন ছিল না। আদিম মানুষেরা নিজেদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে খাদ্য আহরণ ও সংরক্ষণ করত। প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত পৃথিবীতে অসংখ্য জিনিসের উদ্ভাবন ঘটেছে। আর এ উদ্ভাবন বা আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে মানুষের প্রয়োজন। পৃথিবীতে মানুষের জীবনধারণের জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন পড়ে। আর এ প্রয়োজন জীবনের চাহিদার সাথে সংগতি রেখে ক্রমেই বেড়ে চলে। জীবনধারণের এ চাহিদা মেটাতে মানুষ বিচিত্র জিনিসের উদ্ভাবন করে। তাই দেখা যায়, কোনো কিছু আবিষ্কারের পিছনে মানুষের প্রয়োজনই প্রবলভাবে কাজ করে। প্রয়োজনই কৌতূহলী মানুষকে বিজ্ঞানের নানা বিষয় উদ্ভাবনে উৎসাহিত করেছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে তার আলোর ছটা দেখে মানুষ অনুভব করে আলোর প্রয়োজনীয়তা। পরবর্তীকালে মানুষ অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর জগতে যাওয়ার জন্য উদ্ভাবন করে বিদ্যুৎ। নিজেকে নানা ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছে নানা ধরনের ওষুধপত্র। পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার প্রয়োজনীয়তা থেকে মানুষ তৈরি করেছে ঘরবাড়ি, দালানকোঠা, অট্টালিকা ইত্যাদি। এমনকি শিক্ষা, যাতায়াত, যোগাযোগসহ জীবনের সব প্রয়োজনীয় জিনিস আবিষ্কার করেছে প্রয়োজনের তাগিদেই। প্রয়োজন না হলে মানুষ কখনো এসব উদ্ভাবন করত না।
মন্তব্য: মানবজীবনে প্রয়োজনের কোনো শেষ নেই বরং নিত্যনতুন প্রয়োজনীয়তা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আর মানুষ তার বুদ্ধি, মেধা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা দিয়ে সেই প্রয়োজনীয়তার বোধ থেকেই আবিষ্কার করে নতুন নতুন জিনিস।