পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানো বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED) একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক উভয় প্রকার কারণই জড়িত।
শারীরিক কারণ
- রক্তনালীর সমস্যা: রক্তনালীর সংকীর্ণতা বা ব্লকেজ (যেমন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, বা ডায়াবেটিস) লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। এটি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি।
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি লিবিডো (যৌন ইচ্ছা) এবং ইরেকশনে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যান্য হরমোনের সমস্যা, যেমন থাইরয়েড বা পিটুইটারি গ্রন্থির রোগও এর কারণ হতে পারে।
- স্নায়বিক সমস্যা: স্পাইনাল কর্ডের আঘাত, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, বা পারকিনসন’স রোগের মতো স্নায়ুজনিত সমস্যা লিঙ্গের স্নায়ু সংকেতকে ব্যাহত করতে পারে, যা ইরেকশনের জন্য অপরিহার্য।
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, ব্যথানাশক এবং কিছু ক্যান্সারের ওষুধের মতো কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল: অতিরিক্ত ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা ইরেকশনের জন্য ক্ষতিকর।
- অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: স্থূলতা, কিডনি রোগ, এবং স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যাও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণ হতে পারে।
মানসিক কারণ
- উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা: পারফরম্যান্স অ্যাংজাইটি, অর্থাৎ যৌন মিলনের সময় সঠিকভাবে পারফর্ম করতে পারবো কিনা এই ধরনের দুশ্চিন্তা ইরেকশনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি একটি সাধারণ মানসিক কারণ।
- মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, তা সে কাজ বা ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত যাই হোক না কেন, লিবিডো কমিয়ে দিতে পারে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
- বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন): বিষণ্ণতা শুধুমাত্র যৌন আগ্রহই কমায় না, বরং এর জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
- সম্পর্কের সমস্যা: পার্টনারের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন বা যোগাযোগের অভাবও যৌন জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে।
যদি আপনি এই সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন চিকিৎসক আপনার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে সাহায্য করতে পারেন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।