পরিসংখ্যানের উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি?

পরিসংখ্যানের উপাত্ত হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে সংখ্যাগত তথ্য। এই তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপসংহারে পৌঁছাতে পারি। পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত উপাত্তগুলো মূলত দুই প্রকার:

১. প্রাথমিক উপাত্ত: এই ধরনের উপাত্ত কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো সংগ্রহ করা হয়। অর্থাৎ, এগুলো অন্য কোনো সূত্র থেকে নেওয়া হয় না। উদাহরণস্বরূপ, কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উচ্চতা পরিমাপ করে যে তথ্য পাওয়া যায়, তা প্রাথমিক উপাত্ত। এই ধরনের উপাত্ত সংগ্রহের জন্য জরিপ, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

২. মাধ্যমিক উপাত্ত: এই ধরনের উপাত্ত কোনো প্রকাশিত সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়। অর্থাৎ, এগুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকাশনা, রিপোর্ট, ডাটাবেজ ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে দেশের জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা। এই ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ করা সাধারণত সহজ এবং কম খরচসাপেক্ষ।

উপাত্তের প্রকারভেদ: উপাত্তকে আরও বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। যেমন,

  • পরিমাণের ভিত্তিতে: অবিচ্ছিন্ন এবং বিচ্ছিন্ন উপাত্ত।
  • গুনগত ভিত্তিতে: নামমাত্র এবং ক্রমিক উপাত্ত।
  • সংগ্রহের পদ্ধতির ভিত্তিতে: প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উপাত্ত।

উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ: পরিসংখ্যানে উপাত্ত সংগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংগৃহীত উপাত্তগুলো বিভিন্ন পরিসংখ্যানীয় পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা উপাত্ত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে পারি, যেমন কেন্দ্রীয় প্রবণতা, বিচ্ছুরণ, সম্পর্ক ইত্যাদি।

পরিসংখ্যানের উপাত্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন ব্যবসা, অর্থনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান ইত্যাদি। উপাত্তের প্রকৃতি এবং সংগ্রহের পদ্ধতি অনুযায়ী বিভিন্ন পরিসংখ্যানীয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পরিসংখ্যানের জ্ঞান ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।

error: Content is protected !!