তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশ ও পরিবর্তী প্রবাহ | HSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

তড়িতচৌম্বক আবেশ

একটি গতিশীল চুম্বক বা তড়িৎবাহী বর্তনীর সাহায্যে অন্য একটি বদ্ধ বর্তনীতে ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক শক্তি ও তড়িৎপ্রবাহ উৎপন্ন হওয়ার পদ্ধতিকে তাড়িতচৌম্বক আবেশ বলে।

চৌম্বক ফ্লাক্স

কোনো তলের ক্ষেত্রফল এবং ঐ তলের লম্ব বরাবর চৌম্বকক্ষেত্রের উপাংশের গুণফলকে ঐ তলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স বলে।

ফ্যারাডের সূত্র

প্রথম সূত্রঃ যখনই কোনো বদ্ধ কুণ্ডলীতে চৌম্বক ফ্লাক্সের বা চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার পরিবর্তন ঘটে, তখনই কুণ্ডলীতে একটি ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। যতক্ষণ চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহ ততক্ষণই স্থায়ী থাকে।

দ্বিতীয় সূত্রঃ কোনো কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তির মান অর্থাৎ আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের মান ঐ কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তনের হারের ঋণাত্মক মানের সমানুপাতিক।

লেঞ্জের সূত্র

যেকোনো তড়িতচৌম্বক আবেশের বেলায় আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহের দিক এমন হয় যে, তা সৃষ্ট হওয়া মাত্রই যে কারণে সৃষ্টি হয় সেই কারণকেই বাধা দেয়।

স্বকীয় আবেশ

একটি মাত্র বর্তনীতে অসম তড়িৎপ্রবাহের ফলে অথবা কোনো চৌম্বকক্ষেত্রে বর্তনীর গতির ফলে চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তনের জন্য যে তাড়িতচৌম্বক আবেশ ঘটে তাকে স্বকীয় আবেশ বলে।

স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ক

কোনো কুণ্ডলীতে একক তড়িৎপ্রবাহিত হলে কুণ্ডলীতে সংযুক্ত মোট চৌম্বক ফ্লাক্সকে ঐ কুণ্ডলীর স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ক বলে।

পারস্পরিক আবেশ 

কোনো একটি কুণ্ডলীতে তড়িৎপ্রবাহ পরিবর্তন করলে নিকটবর্তী অন্য একটি কুণ্ডলীতে যে তাড়িতচৌম্বক আবেশ সৃষ্টি হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ বলে।

দিক পরিবর্তী তড়িৎ প্রবাহ

কোনো বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর দিক পরিবর্তন করে এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মান প্রাপ্ত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে দিক পরিবর্তী তড়িৎ প্রবাহ বলে।

দিক পরিবর্তী তড়িচ্চালক শক্তি

যে তড়িচ্চালক শক্তির ক্রিয়ায় কোনো বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর দিক পরিবর্তন করে এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নমান প্রাপ্ত হয় সেই তড়িচ্চালক শক্তিকে দিক পরিবর্তী তড়িচ্চালক শক্তি বলে।

error: Content is protected !!