কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় | কিডনি ভালো রাখার উপায়

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা: কিডনির অবস্থা বোঝার জন্য সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রক্ত ও প্রস্রাবের পরীক্ষা করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, এবং এলবমিনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। প্রস্রাবের পরীক্ষায় প্রোটিন, রক্ত, এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।
  • কিডনি আল্ট্রাসনোগ্রাম: কিডনির আকার, আকৃতি, এবং অবস্থান দেখার জন্য কিডনি আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যেতে পারে।
  • সিটি স্ক্যান বা এমআরআই: কিডনির আরও বিস্তারিত চিত্র পেতে সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করা যেতে পারে।
  • কিডনি বায়োপসি: কিডনির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কিডনি বায়োপসি করা যেতে পারে।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনির অবস্থা বোঝার জন্য নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোর দিকেও খেয়াল রাখা উচিত

কিডনির অবস্থা বোঝার জন্য উপরোক্ত পরীক্ষাগুলোর পাশাপাশি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোর দিকেও খেয়াল রাখা যেতে পারে:

  • ঘন ঘন প্রস্রাব: কিডনি যখন ঠিকভাবে কাজ করে না তখন শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে পারে না। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
  • প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন: কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন দেখা দিতে পারে।
  • শরীর ফুলে যাওয়া: কিডনি যখন ঠিকভাবে কাজ করে না তখন শরীরে তরল জমে যায়। এর ফলে শরীর ফুলে যেতে পারে।
  • শরীরে দুর্বলতা: কিডনি যখন ঠিকভাবে কাজ করে না তখন শরীরে পুষ্টি ও অক্সিজেন সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপ: কিডনি যখন ঠিকভাবে কাজ করে না তখন শরীরে সোডিয়াম জমে যায়। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
  • হাড় ক্ষয়: কিডনি যখন ঠিকভাবে কাজ করে না তখন শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে হাড় ক্ষয় হতে পারে।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত লক্ষণগুলোর সবগুলো কিডনি রোগের কারণে দেখা দিতে পারে না। তবে এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি ভালো রাখার জন্য যেসকল বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত

কিডনি ভালো রাখার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: কিডনি ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, ফলমূল, শাকসবজি, এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলা: ধূমপান ও অ্যালকোহল পান কিডনির ক্ষতি করে।
  • নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা: উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনির ক্ষতি করে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।
  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা: কিছু ওষুধ কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
error: Content is protected !!