হরমোন কত প্রকার ও কি কি?

হরমোন কাকে বলে?

নালিবিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রসকে হরমোন বলে। একটু পরিষ্কার করে বলি, জীবদেহের এক বিশেষ ধরনের নালিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস, যেহেতু নালি নেই তাই রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হবে এবং দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এটাই হলো হরমোন।

হরমোনের প্রকারভেদ

মানবদেহে সর্বমোট ৫০টি হরমোন থাকে। আমার সবগুলো সম্পর্কে জানা নেই তবে কিছু মুখ্য নালিবিহীন গ্রন্থির পরিচিতি,কাজ ও নিঃসৃত হরমোনের বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো -

হরমোনের কিছু প্রকারভেদ এবং তাদের কাজ

পিটুইটারি গ্রন্থিঃ মস্তিষ্কের নিচের অংশে অবস্থিত নালিবিহীন গ্রন্থিটি হলো পিটুইটারি গ্রন্থি। এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন মানবদেহের বৃদ্ধি ঘটায়। এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের নাম হলোঃ গোনাডোট্রোপিক, সোমাটোট্রোপিক,থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন (TSH), এডরেনোকর্টিকোট্রপিন।

থাইরয়েড গ্রন্থঃ গলার ট্রাকিয়ার উপরের অংশে অবস্থিত গ্রন্থি হলো থাইরয়েড। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় থাইরক্সিন হরমোন। যা সাধারণত মানবদেহে স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিপাকীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থিঃ মানবদেহে এ গ্রন্থির সংখ্যা ৪টি,যার সবগুলোই থাইরয়েড গ্রন্থির পিছনে অবস্থিত। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত প্যারাথরমোন মূলত ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইমাস গ্রন্থিঃ থাইমাস গ্রন্থি গ্রীবা অঞ্চলে অবস্থিত। এর থেকে নিঃসৃত হরমোন হলো-থাইমোসিন। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশে সাহায্য করে।

অ্যাডরেনাল বা সুপ্রারেনাল গ্রন্থিঃ এই গ্রন্থি কিডনির উপরে অবস্থিত। এটি মূলত কঠিন মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকে পরিত্রাণে সাহায্য করে। এর থেকে নিঃসৃত হরমোনগুলোর একটি হলো- অ্যাডরেনালিন।

আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানসঃ ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন নামক হরমোন যা এই গ্রন্থিটি থেকে নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থিটির অবস্থান অগ্ন্যাশয়ের মাঝে। এটি শরীরের শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।

গোনাড বা জনন অঙ্গ গ্রন্থিঃ জনন অঙ্গ থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের পরিণত বয়সের লক্ষণগুলো বিকশিত করতে ভূমিকা রাখে। জনন অঙ্গ থেকে পরিণত বয়সের পরুষ-দেহে টেস্টোস্টেরন এবং স্ত্রী-দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপন্ন হয়।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url