শ্রবণ দক্ষতা কাকে বলে?

শ্রবণ দক্ষতা কাকে বলে?

ভাষা দক্ষতার প্রথম স্তর হল শ্রবণ দক্ষতা। শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর দর্শন এবং শ্রবণের সাহায্যে ভাষা অর্জন প্রক্রিয়ার সূত্রপাত ঘটে। শ্রবণের ওপর শিশুর কথন নির্ভর করে।কোনো শিশু যদি শুনতে না পায় তাহলে তার কখন দক্ষতা বিকশিত হয়না। আবার কথন দক্ষতার ওপর পঠন ও লিখন দক্ষতা নির্ভরশীল। তাহলে দেখা যাচ্ছে মানব শিশুর ভাষা বিকাশের একদম ভিত্তিতে রয়েছে শ্রবণ দক্ষতা।যদিও শিশু যখন বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হয় তখন তাদের শ্রবণ দক্ষতা অনেক পরিণত হয়ে যায়, তবুও শিশুর ভাষা বিকাশে শ্রবণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সঠিক শব্দ শ্রবণের ওপর সঠিক ভাষা বিকাশ নির্ভর করছে।

শ্রবণ দক্ষতার বৈশিষ্ট্য

  • শ্রবণের সঙ্গে মনোযোগ এর ঘনিষ্ট সম্পর্ক তাই শ্রেণিকক্ষের মধ্যে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ।
  • শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের বক্তব্য ভালোভাবে শ্রবণ করবে।
  • শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সহপাঠী দলের বিভিন্ন বক্তব্য শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শুনবে।
  • কোনো বিষয় শ্রবণ করে শিক্ষার্থীরা তা স্মরণের ওপর জোর দেবে। অর্থাৎ শ্রবণ করে তা স্মৃতিতে ধরে রাখতে চেষ্টা করবে।

শ্রেণিকক্ষে শ্রবণ দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা

  • শ্রেণিকক্ষের মধ্যে উত্তম শ্রবণের ওপর শিশুর ধারণা গঠন নির্ভর করে। 
  • শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনে মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য শ্রবণ দক্ষতা প্রয়োজন।
  • কোনো বিষয়ের অর্থ অনুধাবনের জন্য শ্রবণ প্রয়োজন।
  • ভাষা দক্ষতার বিকাশের জন্য শ্রবণ দক্ষতার প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url