শৃঙ্খলা কাকে বলে? শৃঙ্খলা বিধান কাকে বলে?

শৃঙ্খলা কাকে বলে?

শৃঙ্খলা বলতে আমরা বুঝি যে, কতকগুলি বাধার নিয়ম কানুন যথাযথভাবে পালন করা এবং একই সাথে কাজের সময় সহযোগিতামূলক, সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করা যায় একটি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত আচরণ সম্পর্কিত রীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মীরাই আত্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেদের শৃংখলাবদ্ধ করে। অর্থাৎ তারা প্রত্যাশিত আচরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করে, কারণ তারা মনে করে যে আচরণ করাই যুক্তিযুক্ত। কর্মীরা যদি বুঝতে পারে তাদের কাছে কোন ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং যদি তারা মনে করে যে এই প্রত্যাশা যুক্তিসঙ্গত, তাহলে তারা এই প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকে। 

কিন্তু অনেক কর্মী আত্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেকে শৃংখলাবদ্ধ করে না। উদ্দীপনা প্রদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। অপ্রত্যাশিত আচরন প্রদর্শনে ব্যর্থ এই সমস্ত কবিদের কে শৃংখলাবদ্ধ করার জন্য শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা কে আমরা শৃঙ্খলা বিধান বলি।


শৃঙ্খলা বিধান কাকে বলে?

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কে সন্তুষ্ট রাখতে চায় যাতে তারা উন্নত মান বজায় রেখে কাজ করতে পারে এবং একই সাথে কার্য সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী নির্বাচন, তাদের কার্য বিশেষণ, কার্য সম্পাদনের মান নির্ধারণ এবং পুরস্কার প্রদান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা প্রদান করতে চেষ্টা করে।

কিন্তু প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের এমন কিছু কর্মী আসে যারা কর্মীদের জন্য দায়ী করা হোক না কেন, সব সময় ব্যবস্থাপনার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট থাকে। এই সমস্ত কর্মীর যে ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, তা হল- সব সময় দেরিতে অফিসে বা কাজে আসা, অথবা এমন কোন কাজে জড়িয়ে যাওয়া যা প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়। এই সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ সময়ে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে একটি বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা হয়, আর তা হলো শৃঙ্খলা বিধান করার ক্ষেত্রে প্রতিটি জন্য আইনানুগ হয়।

আরও পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url