সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
Number Systems and Digital Devices
সংখ্যা কাকে বলে?
কোনো কিছু গণনা করে তা প্রকাশ করার জন্য কতিপয় সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। কোনো সংখ্যা লেখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বলা হয় সংখ্যা পদ্ধতি।
সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেজ কাকে বলে?
কোনো সংখ্যা পদ্ধতিকে লিখে প্রকাশ করার জন্য যতগুলো মৌলিক চিহ্ন বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয় তার সমষ্টিকে এ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলা হয়।
সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর কাকে বলে?
কোনো সংখ্যা পদ্ধতির যেকোনো একটি সংখ্যার মানকে অন্য সংখ্যা পদ্ধতির সমতুল্য মানে পরিণত করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর বলে।
চিহ্নযুক্ত সংখ্যা কাকে বলে?
ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা বুঝানোর জন্য সংখ্যার পূর্বে +/- চিহ্ন দিতে হয়। চিহ্ন বা সাইনযুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বা সাইন্ড নাম্বার বলে।
প্যারিটি বিট কাকে বলে?
কম্পিউটার সিস্টেমের ভিতর ডেটা বিট সঞ্চালনের গ্রুপে কোনো ত্রুটি শনাক্ত করার জন্য একটি অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয়। এ অতিরিক্ত বিটকে প্যারিটি বিট বলে।
কোড কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা সংকেতের মাধ্যমে বর্ণ, অঙ্ক ও সংখ্যাগুলোকে বাইনারি অদ্বিতীয় সংখ্যায় প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয় তাকে কোড বলে।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা কাকে বলে?
জর্জ বুল এর গণিত এবং যুক্তির উপর ভিত্তি করে যে নতুন অ্যালজেবরা উদ্ভাবিত হয়েছে তাকে বুলিয়ান অ্যালজেবরা বলে।
বুলিয়ান ধ্রুবক কাকে বলে?
বুলিয়ান অ্যালজেবরারয় যার মান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না তাকে বুলিয়ান ধ্রুবক বলে।
বুলিয়ান চলক কাকে বলে?
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যার মান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় তাকে বুলিয়ান চলক বলে।
বুলিয়ান পূরক কাকে বলে?
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যেকোনো চলকের মান 0 বা 1 হতে পারে। এই 0 এবং 1 কে একটি অপরটির বুলিয়ান পূরক বলা হয়।
সত্যক সারণি কাকে বলে?
যে সকল টেবিল বা সারণির মাধ্যমে বিভিন্ন গেইটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় অর্থাৎ লজিক সার্কিটের ইনপুটের উপর আউটপুটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাকে সত্যক সারণি বলে।
লজিক গেইট কাকে বলে?
যে সকল ডিজিটাল সার্কিট যুক্তিমূলক সংকেতের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সে সকল সার্কিটকে লজিক গেইট বলে।
বাফার গেইট কাকে বলে?
যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিটে একটি ইনপুট দিয়ে একটি আউটপুট পাওয়া যায় এবং ইনপুট ও আউটপুটের মান সমান থাকে তাকে বাফার গেইট বলে।
যৌগিক গেইট কাকে বলে?
যে সকল লজিক গেইট মৌলিক গেইটের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় না তাদের যৌগিক গেইট বলে।
সর্বজনীন গেইট কাকে বলে?
যে সকল গেইট দিয়ে মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় তাদের সর্বজনীন গেইট বলে।
ডিজিটাল ডিভাইস কাকে বলে?
একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যেখানে তথ্য জমা রাখতে পারে এবং প্রয়োজনমতো ডিজিটাল ফাইল হিসেবে প্রদর্শন করতে পারে তাকে ডিজিটাল ডিভাইস বলে।
এনকোডার কাকে বলে?
যে সমবায় বর্তনী মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে তাকে এনকোডার বলে।
ডিকোডার কাকে বলে?
ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করার পদ্ধতিকে ডিকোডার বলে।
অ্যাডার কাকে বলে?
যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে যোগের কাজ করা হয় তাকে অ্যাডার বলে।
বাইনারি অ্যাডার কাকে বলে?
যে অ্যাডার দুটি বাইনারি বিট যোগ করাতে পারে তাকে বাইনারি অ্যাডার বলে।
ফ্লিপ ফ্লপ কাকে বলে?
লজিক গেইট দ্বারা তৈরি এক ধরনের মেমোরি উপাদান যা এক বিট সংরক্ষণ করতে পারে তাকে ফ্লিপ-ফ্লপ বলে।
রেজিস্টার কাকে বলে?
কিছু ফ্লিপ-ফ্লপের তৈরি ডিজিটাল বর্তনী যা সীমিত সংখ্যক বাইনারি ডেটা ধারণ করে রাখতে পারে তাকে রেজিস্টার বলে।
কাউন্টার কাকে বলে?
যে সিকুয়েন্সিয়াল সার্কিটে ইনপুটে দেওয়া পালসের সংখ্যা গুণতে পারে তাকে কাউন্টার বলে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি
অধ্যায় - ১: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
অধ্যায় - ২: কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়াকিং
অধ্যায় - ৩: সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
অধ্যায় - ৪: ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি এবং HTML
অধ্যায় - ৫: প্রোগ্রামিং ভাষা