আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে?

আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে?

সাধারণত কোনো দেশের অঞ্চলভেদে যে কথ্য ভাষা ব্যবহৃত হয়, তাকেই আঞ্চলিক ভাষা বলে।

প্রত্যেক দেশেই স্থান বা অঞ্চলভেদে আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়।

যেমনঃ বিভিন্ন স্থানে মেয়ে শব্দটি বিভিন্নরূপ লাভ করেছে- মেয়ে থেকে "পুরি", "মাইয়া", "ছেমড়ি", "ছেড়ি" ইত্যাদি নামে বলা হয়।

অথবা, ভৌগলিক ব্যবধান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সমাজগঠন, ধর্ম, পেশা ইত্যাদি কারণে এক এলাকার ভাষার থেকে অন্য এলাকার ভাষায় পার্থক্যের সৃষ্টি হয়। ভৌগলিক ব্যবধান বা অঞ্চল ভেদে ভাষার যে বৈচিত্র্য তাই হলো উপভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা।

আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য

আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ

১) আঞ্চলিক ভাষা সাধারণত মৌখিক ভাষা।

২) আঞ্চলিক ভাষা স্ব-স্ব অঞ্চলের উচ্চারণ ও বাক্য গঠনরীতি নির্ভর।

৩) আঞ্চলিক ভাষা যেকোনো দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত।

৪) আঞ্চলিক ভাষার কোনো কোনো শব্দ সাধু রীতি বা চলিত রীতিতে গৃহীত হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url