ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি কি?

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি কি?

প্রত্যেক রাষ্ট্রেই সরকারের তিনটি বিভাগ আছে। যেমন− আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগ আইন তৈরি করে, শাসন বিভাগ আইন অনুযায়ী শাসন করে এবং বিচার বিভাগ আইন লঙ্ঘনকারীর বিচার করে শাস্তি প্রদান করে। তবে সরকারের এই তিন ধরনের ক্ষমতা কোন এক বিভাগের হাতে থাকা ঠিক নয়। তাতে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে। তাই প্রত্যেক বিভাগ আলাদা লোক দ্বারা আলাদাভাবে সংগঠিত হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যবস্থাকে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ বলে।

ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ বলতে বুঝায় রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন, শাসন ও বিচার ক্ষমতা পৃথক ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির হাতে অর্পণ করা যাতে এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে।

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ বলতে বুঝায় রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন, শাসন ও বিচার ক্ষমতা পৃথক ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির হাতে অর্পণ করা যাতে এক বিভাগ অন্য বিভাগের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে না পারে। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের এই ধারণা প্রাচীনকালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নিকটও পরিচিত ছিল। এরিস্টটল, পলিবিয়াস, সিসেরো প্রমুখ চিন্তাবিদগণ ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগেও এই মতবাদের সমর্থন মিলে। মধ্যযুগে মার্সিলিও অব পাদুয়া ও জিন বডিন এবং আধুনিক যুগে হবস, লক প্রভৃতি দার্শনিকগণও এই মতবাদ সমর্থন করেন। রাষ্ট্র বিজ্ঞানী মন্টেস্কু সুস্পষ্ট নীতি হিসেবে স্বতন্ত্রীকরণকে সমর্থন করেন। কিন্তু পরিপূর্ণ ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ বাস্তবে দেখা যায় না। এটি কাম্যও নয়। তাই ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের সাথে ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ ও ভারসাম্যের নীতির কাম্যতা অনেকেই স্বীকার করেন।

আরো পড়ুনঃ


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url