গামা বৈচিত্র্য কাকে বলে? গামা বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য

গামা বৈচিত্র্য কাকে বলে? 

কোনো বৃহৎ ভৌগলিক পরিবেশে প্রাকৃতিক স্থলজ বা জলজ বাসস্থলে গোষ্ঠীর বা প্রজাতির গোষ্ঠীগত বিভিন্নতা কারণে সৃষ্ট জীববৈচিত্র্যেকে গামা বৈচিত্র্য বলে।

হুইটেকারের মতে, গামা বৈচিত্র্র্য হলো, "...the total species diversity in a landscape." একটি বৃহৎ প্রাকৃতিক ভূখণ্ডে স্থানীয় বা আঞ্চলিক, মাঝারি ও বৃহৎ স্থলজ ও জলজ বাসস্থলের উপস্থিতি রয়েছে। হুইটেকার একই গোষ্ঠীর বা প্রজাতির বিভিন্ন বাসস্থলে তথা সামগ্রিক অর্থে কোনো বৃহৎ ভৌগলিক পরিবেশে গোষ্ঠী বা প্রজাতির মোট সংখ্যাকে বোঝাতে গামা-বৈচিত্র্যের ধারণাটির প্রবর্তন করেন এবং নির্ণয়ৈর সূত্র আবিষ্কার করেন। যা হলো -  γ × α × β

গামা বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য 

  • বৃহৎ ভৌগলিক পরিবেশের বিভিন্ন বাসস্থলে আন্তঃগোষ্ঠী বা প্রজাতির মোট সংখ্যা নির্ধারক হলো গামা বৈচিত্র্য। 
  • গামা বৈচিত্র্যের দ্বারা খুব সহজেই ক্ষদ্র থেকে বৃহৎ ভৌগলিক পরিসরে একই গোষ্ঠী বা ভিন্ন গোষ্ঠীর প্রজাতির মোট সংখ্যা নির্ণয় করা যায়।
  • একই প্রজাতি বিভিন্ন বাসস্থলে ভিন্ন চরিত্রের হলেও অভিযোজন ও বাস্তুতান্ত্রিক বিবর্তন একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিক পথেই সংঘটিত হয়।
  • সর্বোপরি বাসস্থলভিত্তিক প্রজাতির সংখ্যা নির্ধারণ, গোষ্ঠীর প্রাচুর্য ও স্বল্পতা খুব সহজেই গামা-বৈচিত্র্যের সাহায্যে নির্ণয় করা যায় এবং প্রজাতির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক নির্দেশক। 

উপরিউক্ত জীববৈচিত্র্য ছাড়াও আধুনিক ধারণানুসারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফল নতুন এক ধরনের জীববৈচিত্রের ধারণার সূত্রপাত হয়েছে যা অন্ধকার বা Dark Diversity নামে পরিচিত।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url