ইমালশান কাকে বলে?

ইমালশান কাকে বলে?

একটি তরল পদার্থের মধ্যে অমিশ্রণীয় অন্য একটি তরল পদার্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুর অাকারে বিস্তৃত থাকলে উক্ত তরল মিশ্রণকে ইমালসন বলে। ইমালসন কণা পরিমাপে সাধারণত কলয়েডীয় দ্রবণ হতে ভিন্ন। কলয়েডীয় কণার ব্যাস 1×10-3 pm হতে 2×10pm । কিন্তু ইমালসনের গোলাকার কণিকার ব্যাস প্রায় 1×10pm । যেমন: দুধ, মাখন ইত্যাদি।

ইমালশানের প্রকারভেদ

প্রকারভেদ ইমালশান দুই প্রকার। যথা:
(ক) পানিতে তেল ইমালশান
(খ) তেলে পানি ইমালশান

(ক) পানিতে তেল ইমালশান:
এটি পানিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুর আকারে তরল চর্বির প্রলম্বন। যেমন: দুধ।


(খ) তেলে পানি ইমালশান:
যেমন: কর্ড লিভার অয়েল। এখানে, কর্ড মাছের যকৃতের তেলে পানি বিন্দুর আকারে বিস্তৃত থাকে।










একটি তরল ফেজ এর মধ্যে কোন তরল বস্তু কণা বন্টিত হলে যে কলয়েড পাওয়া যায় তারই নাম ইমালশান। যেমন - অ্যানজিয়ার্স ইমালশান (একটি ঔষধ), দুধ, মাখন। দুধ হলো পানিতে চর্বির কণার ইমালশান এবং মাখন হলো চর্বিতে পানির কণার ইমালশান।

তবে যে কথাটি মনে রাখতে হবে তা হলো দুটি তরলের মিশ্রণ করলেই ইমালশান গঠিত হয় না। যেমন তৈল ও পানি ঝাঁকিয়ে ঘোলাটে মিশ্রণ তৈরি করলেও তাকে রেখে দিলে তেলের কণাগুলো আবার একত্র হয়ে আলাদা তেলের স্তর তৈরি করে। পানির উপর তৈল আলাদা স্তরে থাকে। অর্থাৎ তেল ও পানির মিশ্রণ থেকে স্থিতিশীল ইমালশান হলো না। 

সুতরাং দেখা যায় যে ইমালশান তখনই হতো যদি তেলের কণাগুলো একত্রিত না হয়ে আলাদা থেকে পানিতে বন্টিত থাকতো। অর্থাৎ ইমালশানের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন আর স্থিতিশীল ইমালশান গঠনের জন্য প্রয়োজন একটি নতুন পদার্থ। একটি স্থিতিশীলতাকারক, এরই নাম emulsifier দুধে emulsifier হলো প্রোটিন যা দীর্ঘ অণু পলিমার। এ দীর্ঘ অণু প্রোটিন চেইন চর্বির কণার চারপাশ ঘিরে থাকে বলে দুধে চর্বির কণাগুলো একত্রিত হয়ে যায় না। আলাদা কণা হিসেবে বিরাজ করে পানিতে বন্টিত থাকে। ফলে স্থিতিশীল ইমালশান - দুধ গঠিত হয়।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url