বচন কাকে বলে? বচনের প্রকারভেদ, একবচন কাকে বলে? বহুবচন কাকে বলে?

বচন কাকে বলে?

বচন ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। বচনের অর্থ সংখ্যা সম্পর্কিত ধারণা।

যার দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু, গুণ ইত্যাদির সংখ্যা নির্দেশ করা যায় তাকে বচন বরে। 

সুতরাং যার সংখ্যা হয়, গোনা যায় কেবল তারই বচন হয়, যার গণনা বা সংখ্যা হয় না তার বেলায় বচন ভেদের প্রশ্নই আসে না।

যেমন- মেয়ে-মেয়েরা, গরু-গরুগুলি, টেবিল-টেবিলগুলি।

কিন্তু পানি, দুধ, তেল ইত্যাদির বচন হয় না। কারণ পানিকে একটি পানি বা দুটি পানি বলা যায় না।

বচনের প্রকারভেদ

বাংলা ভাষায় বচন দুপ্রকার। যথা -

ক) একবচন ও

খ) বহুবচন।

বাংলায় দ্বিবচন নেই। কোন কোন ভাষায় তিনটি বচন পাওয়া যায়। যেমন- সংস্কৃত, প্রাচীন গ্রীক, আরবি ও সাঁওতালি ভাষায় তিনটি বচনের রূপ পাওয়া যায়। কিন্তু আধুনিক ভাষায় সাধারণত দুটি বচনই ব্যবহৃত হয়।

বাংলা ভাষায় কেবল বিশেষ্য ও সর্বনাম পদেরই বচনভেদ আছে। 

অন্যান্য পদের বচন হয় না।

একবচনের উদাহরণঃ আমার ছোট ভাই স্কুলে পড়ে।

বহুবচনের উদাহরণঃ আমাদের ছোট ভাইয়েরা স্কুলে পড়ে।

উপরের বাক্য দুটিতে বচনভেদে সর্বনাম এবং বিশেষ্য পদের রূপ পরিবর্তিত হয়েছে। যেমন: আমার (একবচন), আমাদের (বহুবচন), ছোট ভাই (একবচন), ছোট ভাইয়েরা (বহুবচন), কিন্তু বিশেষ্যপদ 'ছোট' এবং ক্রিয়াপদ 'পড়ে'র রূপ একই আছে।

একবচন কাকে বলে?

যে শব্দের সাহায্যে কোন ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর একটিমাত্র সংখ্যা বোঝায় তাকে একবচন বলে।

যেমন - মেয়ে, মেয়েটি, আমি, তুমি, পাখি, পাখিটি, ফুল, কবিতা ইত্যাদি।

বাংলায় একবচনের জন্য বিশেষ কোন প্রত্যয় বা বিভক্তি নেই। শব্দের মূল রূপটিকেই একবচন বোঝায়। তবে মাঝে মাঝে বিশেষ্যের পর টা, টি, খানা, খানি, গাছা, গাছি, গাছ ইত্যাদি প্রত্যয় বাচক শব্দ যুক্ত হয়ে একবচন বোঝানো হয়।

যেমন - একটি পাখি, পাখিটি, আমটি, একগাছাচুড়ি, চুড়িটি, গাছটি, বইখানা, লাঠিগাছা, মালাগাছি ইত্যাদি।

বহুবচন কাকে বলে?

যে শব্দের সাহায্যে অধিক ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বোঝা যায় তাকে বহুবচন বলে। 

যেমন -

ছেলেরা বল খেলছে।

মেয়েরা ক্রিকেট খেলছে।

গরুগুলি ঘাস খাচ্ছে।

চেয়ারগুলো ভাঙা ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url