Home ভিডিও ক্লাস রসায়ন পদার্থবিজ্ঞান জীববিজ্ঞান গণিত English প্রাক-প্রাথমিক

টিস্যু কাকে বলে? তন্ত্র কাকে বলে? টিস্যুতত্ত্ব কাকে বলে?

টিস্যু কাকে বলে? বহুকোষী প্রাণিদেহে অনেক কোষ একত্রে কোনো বিশেষ কাজে নিয়োজিত থাকে। একই ভ্রূণীয় কোষ থেকে উৎপন্ন হয়ে এক বা একাধিক ধরনের কিছুসংখ্যক কোষ জীবদেহের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমষ্টিগতভাবে একটা কাজে নিয়োজিত থাকলে ঐ কোষগুলো সমষ্টিগতভাবে টিস্যু (Tissue) বা তন্ত্র তৈরি করে। একটি টিস্যুর কোষগুলোর উৎপত্তি, কাজ এবং গঠন একই ধরনের হয়। টিস্যু নিয়ে আলোচনাকে টিস্যুতত্ত্ব (Histology) বলে। কোষ এবং টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য খুবই নির্দিষ্ট। কোষ হচ্ছে টিস্যুর গঠনগত ও কার্যকরী একক, যেমন লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা বিভিন্ন ধরনের রক্তকোষ। আবার এদের একত্রে তরল যোজক টিস্যু নামে এক ধরনের টিস্যু হিসেবে পরিচিত। তরল যোজক টিস্যু রক্ত দেহের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেয়। আরো পড়ুনঃ ফ্লোয়েম ফাইবার বা তন্তু কাকে বলে? ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা কাকে বলে? ফ্লোয়েম কাকে বলে? জাইলেম ফাইবার কাকে বলে? স্ক্লেরেনকাইমা কাইমা কাকে বলে?

কোষবিভাজন কাকে বলে?

ভগ্নাংশ কাকে বলে? ভগ্নাংশের প্রকারভেদ | ভগ্নাংশের গুণ ও ভাগ প্রক্রিয়া | ভগ্নাংশ সম্পর্কে তথ্য

ভগ্নাংশ কাকে বলে?

ভগ্নাংশ এর ইংরেজি হলো : Friction।

  • কোনো বস্তু বা পরিমাণের অংশ বা ভাগ নির্দেশ করতে যে সংখ্যা শ্রেণি ব্যবহৃত হয় তাকে ভগ্নাংশ বলে।

  • যার লব ও হর আছে তাকে ভগ্নাংশ বলে।

  • দুটি পূর্ণ সংখ্যাকে অনুপাত বা ভাগ করলে যে রাশি পাওয়া যায় তাকে ভগ্নাংশ বলে।
মনেকরি, a ও b দুটি পূর্ণসংখ্যা। 
তাহলে, ভগ্নাংশটি হবে a/b।

ভগ্নাংশের প্রকারভেদ

ভগ্নাংশ সাধারণত দুই প্রকার। যথা -

ক. সাধারণ ভগ্নাংশ
খ. দশমিক ভগ্নাংশ


সাধারণ ভগ্নাংশের প্রকারভেদ

প্রকৃতি বা গঠন অনুসারে সাধারণ ভগ্নাংশ তিন প্রকার। যথা -

১। প্রকৃত ভগ্নাংশ
২। অপ্রকৃত ভগ্নাংশ
৩। মিশ্র ভগ্নাংশ


ভগ্নাংশের গুণ ও ভাগ প্রক্রিয়া

  • যদি ভগ্নাংশ ও পূর্ণসংখ্যা গুণ করতে বলে তখন কী করবে? উদাহরণ, (৫/১০)×৫ গুণটি করতে হলে যা করতে হবে—ভগ্নাংশের হর নিচে হরের জায়গায়ই থাকবে। আর লবের জায়গায় ভগ্নাংশের লব ও পূর্ণসংখ্যার গুণফল বসবে। অর্থাৎ গুণফলটি হবে = (৫×৫)/১০ = ২৫/১০।
  • দুটি ভগ্নাংশকে গুণ করতে হলে ভগ্নাংশ দুটির হরকে গুণ করে গুণফল হর হিসেবে এবং ভগ্নাংশ দুটির লবকে গুণ করে গুণফল লব হিসেবে লিখলে ভগ্নাংশ দুটির গুণফল পাওয়া যাবে।
  • কোনো ভগ্নাংশকে যদি ওই ভগ্নাংশের বিপরীত ভগ্নাংশ দিয়ে গুণ করা হয় তবে গুণফল হবে ১। যেমন (৫/১০)×(১০/৫) = ১।
  • ভগ্নাংশের ভাগ করতে হলে প্রথম ভগ্নাংশকে দ্বিতীয় ভগ্নাংশের বিপরীত ভগ্নাংশ দিয়ে গুণ করতে হয়। অর্থাৎ ৫/৪ ভাগ ৮/৭ = ৫/৪ গুণ ৭/৮।



ভগ্নাংশ সম্পর্কে তথ্য

  • দুটি ভগ্নাংশের হর একই হলে যে ভগ্নাংশের লব বড় সেটার মান বড়। ৫/২ এর চেয়ে ৭/২ এর মান বড়।
  • দুটি ভগ্নাংশের লব একই হলে যে ভগ্নাংশের হর ছোট সেই ভগ্নাংশটি বড়। ৫/৩ এর চেয়ে ৫/২ এর মান বড়।
  • যেকোনো প্রকৃত ভগ্নাংশের মান ১ থেকে ছোট হয়। যেমন ১/২ এর মান ১ এর ছোট।
  • ভগ্নাংশের যোগফল বা বিয়োগফল সব সময় লঘিষ্ঠ তথা ছোট করে প্রকাশ করতে হয়। যেমন ৪/৮ কে লিখতে হবে ১/২।
  • কোনো ভগ্নাংশের লবকে হর এবং হরকে লব বানিয়ে দিলে বিপরীত ভগ্নাংশ পাওয়া যায়।
  • সরল অঙ্ক করার সময় মিশ্র ভগ্নাংশকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশে রূপান্তর করে নিতে হয়।

আরো পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ

সর্বাধিক পঠিত পোষ্টসমূহ

প্রকল্প কাকে বলে? প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কী কী? উদ্যোক্তা কিভাবে প্রকল্প নির্বাচন করেন? প্রকল্প নির্বাচনে জনসংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক বলা হয় কেন?

উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য

সমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে?

গুণনীয়ক কাকে বলে?