ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে? ইনপুট ডিভাইস এর বর্ণনা, ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার, ইনপুট ডিভাইস সমূহের নাম

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে?

Input Device

কোনো ব্যবহারকারী যেসকল তথ্য কম্পিউটারে প্রবেশ করাতে চান, কম্পিউটার তা গ্রহণ করে। তারপর ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো ঐ তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে কম্পিউটার তার করণীয় কাজ সেরে ফেলে। 

যে সব যন্ত্রাংশের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করাতে পারেন ও কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারেন, সেগুলিকে বলে ইনপুট ডিভাইস। 

যেমন: কি-বোর্ড, মাউস, অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার (ও সি আর), ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেকটার রিডার (এম আই সি আর) ইত্যাদি।

ইনপুট ডিভাইস এর সংজ্ঞা

কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার বা ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে কিংবা বিভিন্ন পরিবেশ থেকে প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডেটা গ্রহণ করে। কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের কাজে ডেটা প্রদানে নিয়োজিত হার্ডওয়্যারসমূহই হলো ইনপুট ডিভাইস। কম্পিউটার সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। 

কয়েকটি ইনপুট ডিভাইসের নাম

১। কি-বোর্ড (Keyboard)

২। মাউস (Mouse)

৩। ট্যাকবল (Trackball)

৪। জয়স্টিক (Scanner)

৫। টাচ স্কিন (Touch Screen)

৬। বার কোড রিডার (Bar Code Reader)

৭। পয়েন্ট অফ সেল (Point of Sale)

৮। ওএমআর (OMR)

৯। ওসিআর (OCR)

১০। স্ক্যানার (Scanner)

১১। ডিজিটাইজার (Digitizer)

১২। লাইটপেন (Lightpen)

১৩। গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)

১৪। ডিজিটাল ক্যামেরা Digital Camera), ইত্যাদি।

ইনপুট ডিভাইস এর বর্ণনা

১. কিবোর্ড (Keyboard)

কম্পিউটারে ইনপুট ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যবহৃত ইনপুট ডিভাইসটি হলো কি-বোর্ড। কি-বোর্ডে কিছু কি একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানো থাকে। কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য বা নির্দেশনা প্রদান, প্রচলিত ভাষায় বর্ণ, অংক বা বিশেষ চিহ্ন প্রদান করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কি-বোর্ড ব্যবহৃত হয়।
কি-বোর্ড


বর্তমানে কি-বোর্ডের মাল্টিমিডিয়া, উইন্ডোজ ও ওয়েব কি-গুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারকে সরাসরি মাল্টিমিডিয়া, উইন্ডোজ ও ওয়েব ব্রাউজিং সম্পর্কে নির্দেশ প্রদান করা যায়। সাধারণত দুই ধরনের কিবোর্ড পাওয়া যায়। যথা –

১. স্ট্যান্ডার্ড কি-বোর্ড ও

২. এনহ্যান্সড কি-বোর্ড

স্ট্যান্ডার্ড কি-বোর্ডে কি থাকে ৮৩/৮৪ টি অন্যদিকে এনহ্যান্সড কি-বোর্ডে কি থাকে ১০০ টির অধিক। কি-বোর্ডের ভেতরে একটি ছোট প্রসেসরযুক্ত সার্কিট এবং কতকগুলো সহায়ক আইসি (ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) থাকে। প্রতিটি কি হচ্ছে এক ধরনের সুইচ, যা সারি এবং কলামের সমন্বয়ের ওপর বসানো থাকে। যখন কি-তে চাপ দেওয়া হয় তখন একটি বৈদ্যুতিক সংকেত নির্দিষ্ট সারি বা কলাম বরাবর কি-বোর্ড প্রসেসরে যায়। প্রসেসর সেই সংকেত দেখে নির্দিষ্ট কি এর অবস্থান বুঝতে পারে এবং এনকোডারের সাহায্যে একটি বাইনারি কোড সিপিইউতে পাঠায়। এ সকল কোডকে স্ক্যান কোড বলে। স্ক্যান কোডগুলো পূর্বনির্ধারিত ও নির্দিষ্ট।


২. মাউস (Mouse)

১৯৬৪ সালে প্রথম মাউস তৈরি করা হয় সহজে এবং দ্রুত বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। বর্তমানে মাউস হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত ইনপুট যন্ত্র। মাউস হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রিত একটি পয়েন্টিং ডিভাইস। সাধারণত কম্পিউটারকে নির্দেশনা দেবার জন্য দুই বা তিনটি বোতাম সম্বলিত ইনপুট ডিভাইসটিকে মাউস নামে অভিহিত করা হয়। মাউস বিভিন্ন পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে সরাসরি যুক্ত। এটি কি-বোর্ডের নির্দেশ প্রদান ছাড়াই একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিভিন্ন মেন্যুর ওপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে এটির বাম পাশের বোতামটি চাপলে উক্ত মেন্যু সচল হয়। ডান পাশের বোতামটি বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। সাধারণত মাউসের পয়েন্টারটি তীর চিহ্নের মতো। সাধারণত Graphical User Interface অপারেটিং সিস্টেমে ফাইল ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল কাজেই মাউসের সাহায্যে করা হয়। এছাড়া ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজ একই কার্সর কি দিয়ে করা গেলেও মাউসের সাহায্যে দ্রুত করা যায়।
মাউস (Mouse)

 


ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার

  • কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য বা নির্দেশনা প্রদান, প্রচলিত ভাষায় বর্ণ, অংক বা বিশেষ চিহ্ন প্রদান করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কি-বোর্ড ব্যবহৃত হয়।

  • সাধারণত Graphical User Interface অপারেটিং সিস্টেমে ফাইল ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল কাজেই মাউসের সাহায্যে করা হয়।

  • জয়স্টিক ভিডিও গেমস খেলার কাজে মূলত ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ওয়্যারলেস সিস্টেমের অত্যাধুনিক জয়স্টিকও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

  • টাচ স্কিন হলো এক ধরনের স্পর্শকাতর ভিডিও ডিসপ্লে পর্দা যার ওপর কোনো কিছুর সাধারণত হাতের আঙুলের স্পর্শ দিয়ে ডেটা ইনপুট করা হয়।

  • বার কোড সাধারণত যেকোনো ধরনের পণ্য, বই, পোস্টাল প্যাকেট ইত্যাদির পরিচিতি শনাক্তকরণে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের বার কোডসমূহ পড়ার জন্য একটি বিশেষায়িত যন্ত্র ব্যবহৃত হয়, যা বার কোড রিডার নামে পরিচিত।

  • সাধারণত নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার উত্তরপত্র, পণ্যের বাজার জরিপ, জনমত জরিপ, পরিচিতিমূলক তথ্যাবলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে OMR ব্যবহৃত হয়।

আরো কিছু ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ

Next Post Previous Post
2 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ২৮ জুন, ২০২১ এ ১১:৩২ PM

    THANK U SO MUCHHHHHHHHHHHHHHH

    • Md. Saifur Rahman
      Md. Saifur Rahman ২৯ জুন, ২০২১ এ ১০:৪৫ PM

      Welcome.

Add Comment
comment url