!doctype>
ধর্ম কিভাবে আইনের উৎস হিসেবে কাজ করে? ধর্মকে আইনের প্রাচীন উৎস। মধ্যযুগে ধর্মকে কেন্দ্র করে আইন প্রণীত হতো। কারণ একজন শাসকের হাতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষমতা থাকলে সে ব্যক্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় অনুশাসন প্রয়োগ করে। পরবর্ততীতে সেসব ধর্মীয় অনুশাসন আইনে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, হিন্দু ও মুসলমানদের বিবাহ, সামাজিক সম্পর্ক ও উত্তরাধিকর সংক্রান্ত আইনগুলো হিন্দু ও মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। বিশেষত প্রাচীন গ্রিস ও রোমের অধিকাংশ আইন প্রণীত হয়েছিল ধর্মকে কেন্দ্র করে। আরো পড়ুনঃ আইনসভার নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ ও বিচারসংক্রান্ত কাজের বর্ণনা দাও। আইনের উৎসসমূহের বর্ণনা দাও। আইন মেনে চলা হয় কেন? সেবা বলতে কি বুঝায়? সেবার প্রকারভেদ | সেবার বৈশিষ্ট্য | সেবার গুরুত্ব কপিরাইট কেন প্রয়োজন?
স্থানীয় মান কাকে বলে?
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
স্থানীয় মান কাকে বলে?
সংখ্যায় ব্যবহৃত কোনো অঙ্ক তার অবস্থানের জন্য যে সংখ্যা প্রকাশ করে থাকে তাকে স্থানীয় মান বলে।যেমন: ৭৭৭৭৭৭ সংখ্যাটির সর্বডানের ৭ এর স্থানীয় মান ৭, ডানদিক থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে ৭ এর স্থানীয় মান যথাক্রমে ৭০, ৭০০, ৭০০০, ৭০০০০, ৭০০০০০।
তাহলে দেখা যাচ্ছে একই অঙ্কের স্থান পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় মানের পরিবর্তন হয়।
![]() |
স্থানীয় মান |
আরো কিছু উদাহরণ দেয়া হলোঃ
২৫ এর স্থানীয় মান কত?
৫ এর স্থানীয় মান = ৫ × ১ = ৫
২ এর স্থানীয় মান = ২ × ১০ = ২০
৪৬২০ এ ৬ এর স্থানীয় মান কত?
৪৬২০ এ ৬ এর স্থানীয় মান = ৬ × ১০০ = ৬০০
৩২১৪০ সংখ্যাটিতে ২ এর স্থানীয় মান কত?
৩২১৪০ সংখ্যাটিতে ২ এর স্থানীয় মান = ২ × ১০০০ = ২০০০
You may Vist Same type of English Website: Shadow Power 24
আরো পড়ুনঃ
👉 সরলরেখা কাকে বলে? সরলরেখা ও সমতলের মধ্যে সম্পর্ক কি?
বিভাগ সমূহঃ
গণিত
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
সর্বাধিক পঠিত পোষ্টসমূহ
আইনের প্রাচীনতম উৎস কি?
প্রথা হচ্ছে আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস। সমাজে প্রচলিত রীতি-নীতি, আচার-আচরণ ও অভ্যাসই হচ্ছে সামাজিক প্রথা। এ সকল সামাজিক প্রথার আবেদন এতই বেশি যে এগুলো অমান্য করলে সংঘাত ও বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। কালক্রমে এসব প্রচলিত প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়ে আইনে পরিণত হয়েছে। যেমন- ব্রিটেনের অধিকাংশ আইনই প্রথা থেকে এসেছে।
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ- নং উদ্ভিদকোষ প্রাণীকোষ ১ উদ্ভিদকোষের পুরু প্রাচীর থাকে। প্রাণিকোষের কোষ প্রাচীর নেই। ২ উদ্ভিদকোষে কোষ গহ্বর বিদ্যমান। প্রাণিকোষে কোষগহ্বর নেই। থাকলেও তা আকারে ছোট। ৩ বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিড থাকে। কোনো ধরনের প্লাস্টিড নেই। ৪ সেন্ট্রোজোম ও সেন্ট্রিওল অনুপস্থিত। সেন্ট্রোজোম ও সেন্ট্রিওল বিদ্যমান। ৫ উদ্ভিদকোষে সঞ্চিত খাদ্য মূলত শ্বেতসার। প্রাণিকোষে সঞ্চিত খাদ্য মূলত গ্লাইকোজেন। আরো পড়ুনঃ 👉 উদ্ভিদ কাকে বলে? 👉 পরিস্রাবণ কাকে বলে? 👉 সনেট কাকে বলে? 👉 প্রজনন শিল্পের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। 👉 বাস্তুতন্ত্র কাকে বলে? বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ
পতিত জমি অর্থ কি?
পতিত জমি অর্থ কি? জমির একটি অব্যবহৃত অংশ বা অঞ্চল যা অনুর্বর এর পরিণত হয়েছে। একটি অপ্রচলিত, অব্যবহৃত বা অবহেলিত নগর বা শিল্প অঞ্চল। একটি জনশূন্য প্রান্তর যে চাষের জন্য মূল্যহীন। আরো পড়ুনঃ ফৌজদারি আইন কাকে বলে? বেসরকারি আইন কাকে বলে? আন্তর্জাতিক আইন কাকে বলে? জীববৈচিত্র্যের বাস্তুতান্ত্রিক গুরুত্ব হোমরুল কথার অর্থ কি?
প্রকল্প কাকে বলে? প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কী কী? উদ্যোক্তা কিভাবে প্রকল্প নির্বাচন করেন? প্রকল্প নির্বাচনে জনসংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক বলা হয় কেন?
প্রকল্প কাকে বলে? কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত মূল্যায়নের মাধ্যমে যে কাজ সম্পাদন করা হয় তাকে প্রকল্প বলে। এ প্রসঙ্গে - ☑ “Stevenson” বলেছেন ---“A project is a problematic act carried to completion in its natural setting”. অর্থাৎ, যে সমস্যামূলক কাজ তার স্বাভাবিক পরিবেশে সম্পন্ন করা হয়, তাই হল প্রকল্প। ☑ “H.W.Kilpatrick” এর মতে –- “A whole-hearted purposeful activity proceeding in a social environment”. অর্থাৎ, প্রকল্প হল কোন উদ্দেশ্যমূলক কাজ, যা একটি সমাজের অনুকূল পরিবেশে আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তাবায়নের জন্য নেওয়া কার্যপদ্ধতি হলো প্রকল্প। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রকল্প নিয়ে থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ করার জন্য কর্মসূচিগুলো চলতে থাকে। ধারাবাহিকভাবে কোনো একটি কাজ সঠিকভাবে করা না হলে প্রকল্পের পুরো প্রক্রিয়াটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কী কী? একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত কার্যপদ্ধতি হলো প্রকল্প। প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো - ১) নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২) বাস্তবায়নের সময়
স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে? স্থিতিশীল উন্নয়নের বৈশিষ্ট্য, স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে? স্থিতিশীল উন্নয়ন হল পরিবেশ ও সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধনকারী একটি আধুনিক ধারণা। স্থিতিশীল উন্নয়নকে অর্থনীতি, সমাজবিদ্যা, পরিবেশবিদ্যা, ভূগোল প্রভৃতি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার দৃষ্টিকোণ থেকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। স্থিতিশীল উন্নয়নের আরও কিছু সংজ্ঞাঃ "স্থিতিশীল উন্নয়ন বলতে সেই উন্নয়ন প্রকল্পকে বোঝায়, যার মাধ্যমে দীর্ঘকাল যাবৎ প্রাকৃতিক গুণগতমান ও কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন রেখে সর্বাধিক অর্থনৈতিক সুবিধা আদায় করা যায়"। - আর্নেস্ট সিমোনিস ইউকো, ১৯৮৩। "স্থিতিশীল উন্নয়ন হচ্ছে মানুষের জীবনের গুণগত মানের এবং মানুষের চাহিদার স্থায়ী সন্তুষ্টি অর্জনের ব্যবস্থা করা" - অ্যালেন, ১৯৮০। "স্থিতিশীল উন্নয়ন হলো উন্নয়নের এমন একটি ধারা যার ভিত্তি সম্পদের সুবিবেচনা প্রসূত ব্যবস্থাপনা, যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য আসে।" "স্থিতিশীল উন্নয়ন হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন যা অর্থনৈতিক কার্যাবলির পরিবেশগত পরিণতির পূনর্বিবেচনা করে এবং সেই সব সম্পদের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে যা প্রতিস্থাপনযোগ্য ও পুনর্ভব"। "স্থিতিশীল উন্নয়ন হল প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিসী
আইন কাকে বলে? আইনের বৈশিষ্ট্য সমূহ
আইন কাকে বলে? আইন ফার্সি শব্দ। ফার্সি ভাষায় আইন শব্দের অর্থ সুনির্দিষ্ট নীতি বা নিয়ম। সমাজ জীবনে প্রচলিত বিধি-বিধানের নামই আইন। আইনের প্রামাণ্য সংজ্ঞা গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের মতে, "আইন হল পক্ষপাতহীন যুক্তি।" আইনবিদ জন অস্টিনের মতে, "সার্বভৌম শক্তির আদেশই আইন।" অধ্যাপক হল্যান্ড বলেন, "আইন হল মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের এমন কতকগুলো সাধারণ নিয়ম যা সার্বভৌম রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দ্বারা প্রযুক্ত হয়।" স্যার হেনরি মেইনের মতে, "আইন হল পরিবর্তনশীল, ক্রমাউন্নতিমূলক, ক্রমবর্ধমান ও দীর্ঘকালীন সামাজিক প্রথার গতির ফল।" আইনের সার্বজনীন ও উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন। তার মতে, "আইন হলো সমাজের যে সব সুপ্রতিষ্ঠিত প্রথা ও রীতিনীতি যেগুলো সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত বিধিতে পরিণত হয়েছে এবং যাদের পিছনে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সুস্পষ্ট সমর্থন রয়েছে।" আইনের উপরিউক্ত সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করে বলা যেতে পারে যে, আইন হল মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কতগুলো বিধিবদ্ধ নিয়মাবলি, যা রাষ্ট্র ও সমাজ
রাজনৈতিক দল কাকে বলে? রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য
রাজনৈতিক দল কাকে বলে? রাজনৈতিক দল হচ্ছে নাগরিকদের এমন একটি দল যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠন করার উদ্দেশ্যে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়। দলটি সমষ্টিগত কল্যাণ কিংবা তাদের সমর্থকদের চাহিদা অনুযায়ী কিছু প্রস্তাবিত নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐকমত্য পোষণ করে। রাজনৈতিক দল হলো নীতি আদর্শের সমর্থনে সংগঠিত, সংঘ বিশেষ যা সাংবিধানিক উপায়ে সরকার গঠন ও পরিচালনার চেষ্টা করে। আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দল জনসাধারণকে সংঘবদ্ধ করার মাধ্যমে দলের নীতি বাস্তবায়ন করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করে। রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ, পরিচালনা, নির্বাচনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মঙ্গলের কাজ করা। রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করলে এর কতগুলো বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। নিম্নে বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলোঃ ১। রাজনৈতিক দল কিছু সংখ্যক মানুষের একটি রাজনৈতিক সংগঠন। ২। রাজনৈতিক দলের সদস্যগণ
গুণিতক কাকে বলে?
গুণিতক কাকে বলে? কোনো সংখ্যাকে পূর্ণসংখ্যা দ্বারা গুণ করে যেসব সংখ্যা পাওয়া যায় সেই সংখ্যাগুলোকে ঐ সংখ্যার গুণিতক বলে। গুণিতকের অন্য নাম ‘নামতা’। যেমন: ৩- কে পূর্ণ সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যে সংখ্যাগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোই হলো ৩ এর গুণিতক। ৩ × ১ = ৩ ৩ ×২ = ৬ ৩ × ৩ = ৯ ৩ × ৪ = ১২ ৩ × ৫ = ১৫ এভাবে, ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫......ইত্যাদি হলো ৩ এর গুণিতক। ৬-এর গুণিতকসমূহ ৬, ১২, ১৮, ২৪...... ইত্যাদি। গুণিতকের বৈশিষ্ট্য ০ (শূন্য) সকল সংখ্যার গুণিতক। গুণিতকগুলো দ্বারা এর গুণনীয়ককে ভাগ করলে একটি মূলদ সংখ্যা পাওয়া যাবে। আরো পড়ুনঃ গুণিতক কাকে বলে? মুত্তাকী কাকে বলে? আলোর প্রতিফলন কাকে বলে? প্রয়োগবাদের জনক কে? হোমরুল কথার অর্থ কি? সাংস্কৃতিক বিশ্বায়ন কাকে বলে? বিশ্ব সামাজিক আন্দোলন কি?
স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?
স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়? স্বাধীনতার ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Liberty' কথাটি এসেছে ল্যাতিন শব্দ 'Liber' থেকে, যার অর্থ স্বাধীন। শব্দগত অর্থে স্বাধীনতা বলতে বোঝায় নিজের ইচ্ছামত কাজ করার অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা। হবস, লক, অ্যাডাম স্মিথ, বেন্থাম, স্পেন্সার, মিল প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বাধীনতার বলতে সকল প্রকার বাধা নিষেধের অনুপস্থিতিকে বুঝিয়েছেন। ল্যাস্কি, বার্কার প্রমুখ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বাধীনতার উপরোক্ত নেতিবাচক সংজ্ঞাকে গ্রহণ করেন নি, কারণ তাঁদের মতে, অবাধ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। বিনা বাধায় যা খুশি করার অধিকার স্বীকৃতি হলে সমাজ উচ্ছৃঙ্খলতায় ভরে উঠবে এবং স্বাধীনতা কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় সবল ব্যক্তির করায়ত্ত হবে। বার্কার, ল্যাস্কি প্রমুখেরা স্বাধীনতাকে ইতিবাচক অর্থে ব্যাখ্যা করার পক্ষপাতী। ল্যাস্কি বলেন, 'স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি সেই পরিবেশের সযত্ন সংরক্ষণ, যে পরিবেশে মানুষ তার ব্যক্তিসত্তাকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারে। স্বাধীনতার উপযোগী এই পরিবেশ সৃষ্টি হয় কতকগুলি বাহ্যিক অবস্থার সংরক্ষণের দ্বারা। আর এই বাহ্যিক অবস্থাগুলি সৃষ্ট ও সংরক্ষিত হয় অধিকারে
ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তির প্রকারভেদ
ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কথাটির বুৎপত্তিগত অর্থ হল বিস্তৃতি। হেতুপদ এবং সাধ্যপদের মধ্যে যে নিয়ত ব্যতিক্রমহীন সহ-উপস্থিতির সম্পর্ক থাকে তাকেই ব্যাপ্তি বলা হয়। যেমন—আমরা বলি যেখানে ধোয়া সেখানে আগুন। “এখানে ধোয়ার সাথে আগুনের ব্যাপ্তি সম্পর্ক” স্থাপিত হয়েছে বুঝতে হবে। ব্যাপ্তির প্রকারভেদ ব্যাপ্তি দু'প্রকার। যথা - ১। সমব্যাপ্তি এবং ২। অসমব্যাপ্তি বা বিষয়ব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। অসমব্যাপ্তিঃ অসমব্যাপক দুটির পদের ব্যাপ্তিকে অসমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে, ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান নয়। যেমন, যেখানে ধূম আছে, সেখানে বহ্নি আছে। ধূম ও বহ্নির বিস্তৃতি সমান নয়। ধূম থাকলে বহ্নি থাকবেই। কিন্তু যেখানে বহ্নি, সেখানে সব সময় ধূম নাও থাকতে পারে। তাহলেই বহ্নির বিস্তৃতি ধূমের চেয়ে ব্যাপক। তাই দুটি পদের ব্যাপকতা যেখানে ভিন্ন, এই ব্যাপ্তি হলো অসমব্যাপ্তি বা বিষয়ব্যা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন