জামিউল কুরআন কাকে বলা হয় এবং কেন?

জামিউল কুরআন কাকে বলা হয়?

হযরত উসমান (রাঃ) কে জামিউল কুরআন বলা হয়।

হযরত আবু বকর (রাঃ) কেও জামিউল কুরআন বলা হয়ে থাকে। কারণ তিনি খলিফা থাকাকালীন সময়ে কুরআন হেফজকারীদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কুরআন সংরক্ষণের জন্য হযরত জায়েদ বিন সাবেত (রাঃ)-এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।

জামিউল কুরআন বলা হয় কারণ

  • কুরআন একত্রিতকরণ: হযরত উসমান (রাঃ) খলিফা থাকাকালীন ইয়ামামার যুদ্ধে অসংখ্য হাফেজ শহীদ হলে কুরআন হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তিনি এই আশঙ্কা দূর করতে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন লিপিবদ্ধ অংশ সংগ্রহ করে একত্রিত করেন।
  • লিপি নির্ধারণ: তিনি কুরআন একত্রিত করার পাশাপাশি সার্বজনীনভাবে ব্যবহারের জন্য একটি লিপি নির্ধারণ করেন।
  • সংশোধন ও প্রচার: তিনি সংশোধিত কুরআনের অনুলিপি বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছিলেন।

জামিউল কুরআন বা কুরআনের একত্রকারী সংকলক কাকে বলা হয়?

হযরত উসমান (রাঃ) কে জামিউল কুরআন বা "কুরআন একত্রকারী" বলা হয়।

কুরআন লেখকদের কি বলা হয়?

কুরআন লেখকদের কোন নির্দিষ্ট নাম নেই। কারণ, কুরআন ঐশ্বরিক বাণী, যা জাবেরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে অবতীর্ণ হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদের কাছে তা মৌখিকভাবে পাঠ করতেন এবং সাহাবীরা তা মুখস্থ করতেন ও লিপিবদ্ধ করতেন।

তবে, যারা কুরআন লিপিবদ্ধ করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন:

  • হযরত আবু বকর (রা.): তিনি কুরআন সংগ্রহকারী হিসেবে পরিচিত।
  • হযরত উমর (রা.): তিনি কুরআন লিপিবদ্ধকারী কমিটি গঠন করেন।
  • হযরত উসমান (রা.): তিনি কুরআন একত্রিতকারী হিসেবে পরিচিত।
  • যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.): তিনি কুরআন লিপিবদ্ধকারী কমিটির প্রধান ছিলেন।

জামিউল নামের অর্থ কি?

জামিউল নামের অর্থ "সমাহারকারী", "সংগ্রাহক" অথবা "একত্রিতকারী"।

উৎপত্তি:

আরবি ভাষা থেকে উদ্ভূত।

"জামা" (جمع) ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ "একত্র করা", "সংগ্রহ করা"।

ব্যবহার:

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন:

  • বই: বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা নিবন্ধ বা প্রবন্ধের সমাহার।
  • বিজ্ঞান: বিভিন্ন তথ্য বা ধারণার সংগ্রহ।
  • ইতিহাস: বিভিন্ন ঘটনার সংক্ষিপ্তসার।

উদাহরণ:

  • "জামিউল হাদিস": হাদিসের সংকলন।
  • "জামিউল ফিকহ": ফিকহের সংক্ষিপ্তসার।

জামিউল নামটি একজন ব্যক্তির নাম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি:

হযরত উসমান (রা.): তিনি "জামিউল কুরআন" উপাধিতে ভূষিত ছিলেন, কারণ তিনি কুরআনের বিভিন্ন অংশ একত্রিত করে একক গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

অন্যান্য অর্থ:

  • "সম্পূর্ণ", "পরিপূর্ণ"
  • "সর্বোচ্চ", "শ্রেষ্ঠ"

উল্লেখ্য:

  • জামিউল নামটি ইসলামী নাম হিসেবেও পরিচিত।
  • ছেলেদের জন্য এ নামটি বেশি ব্যবহৃত হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url