যৌথ মূলধনী ব্যবসায় কাকে বলে? যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

যৌথ মূলধনী ব্যবসায় কাকে বলে?

যৌথ মূলধনী ব্যবসায় হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক সংস্থা যেখানে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একটি সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে। যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলি সাধারণত বড় প্রকল্পগুলির জন্য অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন নতুন ব্যবসা শুরু করা, বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণ করা, বা সম্পত্তি বিনিয়োগ করা।

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:

  • একটি সাধারণ উদ্দেশ্য: যৌথ মূলধনী কোম্পানির সকল অংশীদারদের একটি সাধারণ উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্যটি কোম্পানির নীতিমালা এবং পরিচালনা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
  • অর্থ বিনিয়োগ: যৌথ মূলধনী কোম্পানির অংশীদাররা কোম্পানির মূলধনে অর্থ বিনিয়োগ করে। এই অর্থটি কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা এবং লাভ অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ঝুঁকি ভাগ করা: যৌথ মূলধনী কোম্পানির অংশীদাররা কোম্পানির লাভ এবং ঝুঁকি ভাগ করে নেয়। কোম্পানি যদি লাভ করে, তাহলে অংশীদাররা সেই লাভের অংশ পায়। কোম্পানি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে অংশীদাররা সেই ক্ষতির অংশ বহন করে।

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের প্রকারভেদ

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন:

  • প্রাথমিক যৌথ মূলধনী (IPO): একটি নতুন ব্যবসা যখন জনসাধারণের কাছে তার শেয়ার বিক্রি করে, তখন তাকে প্রাথমিক যৌথ মূলধনী বলা হয়।
  • বন্ড: একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি যখন ঋণ নিতে চায়, তখন সে বন্ড ইস্যু করে। বন্ড হলো একটি ধরনের ঋণপত্র যা কোম্পানি তার ঋণদাতাদের দেয়।
  • প্রাইভেট ইকুইটি: একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি যখন জনসাধারণের কাছে তার শেয়ার বিক্রি না করে, তখন তাকে প্রাইভেট ইকুইটি বলা হয়।

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের সুবিধা

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের সুবিধাগুলি হলো:

  • বড় প্রকল্পগুলির জন্য অর্থায়ন: যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলি বড় প্রকল্পগুলির জন্য অর্থায়নের একটি ভালো উৎস।
  • ঝুঁকি হ্রাস: যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করলে, একজন বিনিয়োগকারী তার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। কারণ, বিনিয়োগকারী একাধিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে।
  • লাভের সম্ভাবনা: যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করলে, একজন বিনিয়োগকারী লাভের একটি ভালো সম্ভাবনা পায়। কারণ, কোম্পানি যদি সফল হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা লাভ করে।

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের অসুবিধা

যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের অসুবিধাগুলি হলো:

  • ঝুঁকি: যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করলে, একজন বিনিয়োগকারী তার অর্থ হারানোর ঝুঁকিতে থাকে।
  • নিয়ন্ত্রণের অভাব: যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলিতে, বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে না।
  • তরলতার অভাব: যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলির শেয়ারগুলি সাধারণত দ্রুত বিক্রি করা যায় না।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url