মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য, মিশ্র গ্রন্থির কাজ, অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে?

যে সমস্ত গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা (হরমোন ক্ষরণকারী অংশ) এবং বহিঃক্ষরা (উৎসেচক ক্ষরণকারী অংশ) উভয় গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে।

মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য

১) অনাল বা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি এবং অনাল বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যুক্ত হয়।

২) বহিঃক্ষরা অংশের ক্ষয় নালির মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে এবং অন্তঃক্ষরা অংশের ক্ষরণ রক্তের মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে পৌঁছায়।

মিশ্র গ্রন্থির কাজ

১) বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক এবং 

২) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়।

উদাহরণঃ অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয় ইত্যাদি।

মিশ্র গ্রন্থির কিছু উদাহরণ

  • অগ্ন্যাশয়: অগ্ন্যাশয় একটি মিশ্র গ্রন্থি যা এক্সোক্রাইন নিঃসরণ হিসাবে পাচক এনজাইম এবং অন্তঃস্রাবী নিঃসরণ হিসাবে ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন নিঃসরণ করে।
  • লিভার: লিভার একটি মিশ্র গ্রন্থি যা এক্সোক্রাইন নিঃসরণ হিসাবে পিত্ত এবং অন্তঃস্রাবী নিঃসরণ হিসাবে বিলিরুবিন নিঃসরণ করে।
  • থাইরয়েড গ্রন্থি: থাইরয়েড গ্রন্থি একটি মিশ্র গ্রন্থি যা এক্সোক্রাইন নিঃসরণ হিসাবে থাইরয়েড হরমোন এবং অন্তঃস্রাবী নিঃসরণ হিসাবে ট্রাইওডোথাইরোনিন এবং থাইরক্সিন নিঃসরণ করে।

অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?

অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি একই সঙ্গে অন্তঃক্ষরা বা নালিবিহীন গ্রন্থি এবং বহিঃক্ষরা সহযোগে গঠিত। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয় যা শরীরে বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক ক্ষরিত হয় যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এ কারণে অগ্ন্যায়কে মিশ্র গ্রন্থি বলে।

আরো পড়ুনঃ পরিপাকতন্ত্র কাকে বলে?

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url