রসায়ন পরিচিতি

রসায়ন পরিচিতি (Introduction to Chemistry)


রসায়ন বিজ্ঞান

যে বিজ্ঞানের সাহায্যে বস্তু বা পদার্থের গঠন, প্রস্তুতপ্রণালী, ধর্মাবলি, ব্যবহার, তাপীয় ও বৈদ্যুতিক পরিবর্তন প্রভৃতি সুস্পষ্ট বিধিযোগে সুষ্ঠুরূপে পর্যালোচনা করা যায় তাকেই রসায়নবিজ্ঞান বলে।

রসায়নের আলোচ্য বিষয়

রসায়ন প্রাচীন ও প্রধান বিজ্ঞানগুলোর মধ্যে অন্যতম। রসায়নে নানা ধরনের পরিবর্তন যেমনÑ সৃষ্টি, ধ্বংস, বৃদ্ধি, রূপান্তর, উৎপাদন ইত্যাদি আলোচনা করা হয়।

ভারতবর্ষে রঙের ব্যবহার শুরু হয়

ভারতবর্ষে প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বেই কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে রংয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

স্বর্ণ আহরণ

খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ বছর পূর্বে মিশরীয়রা স্বর্ণ আহরণ করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

আল-কেমি

প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রসায়ন চর্চাকে ‘আলকেমি’ বলা হয়। আলকেমি শব্দটি আরবি শব্দ। আল কিমিয়া থেকে উদ্ভুদ যা দিয়ে মিশরীয় সভ্যতাকে বুঝানো হত।

ফল পাকলে মিষ্টি হয় কারণ

পাকা ফলে চিনি থাকে। তাই পাকা ফল মিষ্টি লাগে। কাঁচা ফলে জৈব এসিড থাকে। পাকা ফলের জৈব এসিড চিনিতে রূপান্তরিত হয়। ফলের প্রধান অংশ স্টার্চ। যা মিষ্টি নয়। ফল পাকলে স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়। তাই ফল পাকলে সাধারণত মিষ্টি হয়।

কাঁচা ফল টক হওয়ার কারণ

কাঁচা ফলে বিভিন্ন প্রকার জৈব এসিড থাকে। যেমন- সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড, ফরমিক এসিড ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু ফলে সামান্য পরিমাণে অজৈব এসিডও পাওয়া যায়। যেহেতু এসিডগুলো টক স্বাদ যুক্ত কাজেই কাঁচা  ফল  টক স্বাদ যুক্ত হয়।

আম পেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করে কারণ

আমের মধ্যে জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হলুদ বর্ণ ধারী একপ্রকার নতুন যৌগের সৃষ্টি হয়। তাই আম পেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

মরিচা

আর্দ্র আয়রন  অক্সাইডকে মরিচা বলে। যার সংকেত হলো - Fe2O3.nH2O।

মরিচার সংকেত

মরিচার সংকেত Fe2O3.nH2O।

লোহায় মরিচা ধরার কারণ

লোহা শক্ত কিন্তু মরিচা ভঙ্গুর। বিশুদ্ধ লোহা জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে লোহার অক্সাইড নামক এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থে পরিণত হয়। এই রাসায়নিক পদার্থের কারণেই লোহায় মরিচা ধরে।

হাইড্রোকার্বন

কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন - মিথেন, ইথেন ইত্যাদি।

কাঠ, কয়লা পোড়ানো রাসায়নিক পরিবর্তন

কাঠ, কয়লা পোড়ানো একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। কারণ কাঠ, কয়লা মূলত কার্বনের যৌগ দিয়ে গঠিত। যেমন- কাঠ হলো প্রধানত সেলুলোজ। কাঠ, কয়লা জ্বালানোর অর্থ প্রকৃতপক্ষেই কার্বন যৌগের দহন যা এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া। এর ফলে কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস, জ্বলীয় বাষ্প ও তাপের উৎপাদন ঘটে। তাই কাঠ, কয়লা পোড়ানো একধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন।


এসএসসি || রসায়ন || SSC || Chemistry

অধ্যায় - ০২ : পদার্থের অবস্থা
অধ্যায় - ০৩ : পদার্থের গঠন
অধ্যায় - ০৪ : পর্যায় সারণি
অধ্যায় - ০৫ : রসায়নিক বন্ধন
অধ্যায় - ০৬ : মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা
অধ্যায় - ০৭ : রাসায়নিক বিক্রিয়া
অধ্যায় - ০৮ : রসায়ন ও শক্তি
অধ্যায় - ০৯ : এসিড-ক্ষারক সমতা
অধ্যায় - ১০ : খনিজ সম্পদ ধাতু-অধাতু
অধ্যায় - ১১ : খনিজ সম্পদ- জীবাশ্ম
অধ্যায় - ১২ : আমাদের জীবনে রসায়ন
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url