করোটি কাকে বলে? করোটির কাজ

করোটি হলো মেরুদন্ডী প্রাণীদের মাথা গঠনকারী অস্থি। যা মাথা গঠনের পাশাপাশি মুখমণ্ডলের কাঠামো বজায় রাখে। করোটির অংশ দুটি থাকে। যথা: করোটিকা এবং চিবুকাস্থি (ম্য্যান্ডিবল)।

করোটি কাকে বলে?

মেরুদন্ডের প্রথম কশেরুকার উপর অবস্থিত ২৯টি শক্ত অস্থির সমন্বয়ে গঠিত গোলাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠকে করোটি বলে।

একটি অস্থিনির্মিত কাঠামোকে করোটি বা খুলি বলে। যা মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মাথা গঠন করে। এটি মুখমণ্ডলের কাঠামো বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ক রক্ষাকারী গহবর তৈরি করে।

করোটির অংশ দুটি থাকে। যথা: করোটিকা (ক্রেনিয়াম, cranium) এবং চিবুকাস্থি (ম্য্যান্ডিবল)।

করোটি কাকে বলে

করোটির অংশ

করোটিকার অংশ:

করোটিকার অংশগুলি হল:

  • ফ্রন্টাল হাঁড় (frontal bone)
  • ডান ও বাম পাটেলা (parietal bone)
  • টেম্পোরাল হাঁড় (temporal bone)
  • ওসিপিটাল হাঁড় (occipital bone)
  • স্ফেনোইডাল হাঁড় (sphenoid bone)
  • ইথময়েডাল হাঁড় (ethmoid bone)

চিবুকাস্থি:

চিবুকাস্থি হল করোটির একমাত্র চলমান হাড়। এটি মুখমণ্ডলের নিম্নাংশ গঠন করে এবং মুখ খোলা ও বন্ধ করায় সাহায্য করে।

করোটির কাজ

করোটির প্রধান কাজগুলি হল:

  • মস্তিষ্ককে রক্ষা করা
  • মুখমণ্ডলের কাঠামো বজায় রাখা
  • শ্রবণ ও ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করা
  • মুখের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য সংযুক্তি প্রদান করা

করোটির আঘাত, জন্মগত ত্রুটি বা রোগের কারণে করোটির ক্ষতি হতে পারে। এটি মস্তিষ্কের আঘাত, মুখমণ্ডলের বিকৃতি বা অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

১। করোটির আঘাতের লক্ষণগুলি কী কী?

করোটির আঘাতের লক্ষণগুলি হল:

  • মাথাব্যথা
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • মাথা ঘোরা
  • বমি বমি ভাব
  • জ্ঞান হারানো

২। করোটির আঘাতের চিকিৎসা কী?

করোটির আঘাতের চিকিৎসা নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতার উপর। হালকা আঘাতের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন নাও হতে পারে। তবে, মাঝারি বা গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। 

চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • ঔষধপত্র
  • অস্ত্রোপচার

৩। করোটির জন্মগত ত্রুটি কী?

করোটির জন্মগত ত্রুটি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে করোটি স্বাভাবিক আকারে বা আকৃতিতে গঠিত হয় না। করোটির জন্মগত ত্রুটির মধ্যে রয়েছে:

  • এনসেফালোসিল
  • স্কোলিওসিস
  • টেম্পোরাল ফ্রন্টাল ডিসপ্্লাসিয়া

৪। করোটির রোগ কী?

করোটির রোগ হল এমন একটি অবস্থা যেখানে করোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। করোটির রোগের মধ্যে রয়েছে:

  • অস্টিওমাইলয়েডোসিস
  • অস্টিওসার্কোমা
  • মাল্টিপল মায়েলোমা

৫। করোটির আঘাতের ঝুঁকি কী?

করোটির আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কারণগুলি হল:

  • মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
  • খেলাধুলার আঘাত
  • গুলিবিদ্ধ
  • মাথায় আঘাত

৬। করোটির আঘাত প্রতিরোধের উপায়গুলি কী কী?

করোটির আঘাত প্রতিরোধের উপায়গুলি হল:

  • হেলমেট ব্যবহার করা
  • খেলাধুলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা
  • মাথায় আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা

৭। করোটির গঠন কীভাবে হয়?

করোটির গঠন শুরু হয় ভ্রূণের ৮ সপ্তাহ থেকে। প্রথমে, করোটি একটি নরম টিস্যু দিয়ে তৈরি হয় যাকে মেসোডার্ম বলে। এই টিস্যু পরে হাড়ে পরিণত হয়। করোটির হাড়গুলি একসাথে জোড়া লাগানো থাকে জয়েন্ট বা সিমফয়েস দ্বারা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url