নিউটনের গতির ১ম সূত্র ও ব্যাখ্যা

নিউটনের গতির প্রথম সূত্র

বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সুষম দ্রুতিতে সরলপথে চলতে থাকবে।

এ সূত্র মূলত বস্তুর জড়তা ধর্ম বিবৃত করে এবং বলের সংজ্ঞা প্রদান করে। স্থির বস্তু সর্বদাই স্থির থাকতে চায় এবং গতিশীল থাকতে চায়। বস্তুর এই প্রবণতাকে বলা হয় জড়তা। এজন্য এই সূত্রকে জড়তার সূত্রও বলা হয়।

সূত্রটিকে এভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়, যদি কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করা না হয় তা হলে তার গতির পরিবর্তন বা স্থিতির পরিবর্তন হবে না অর্থাৎ বল প্রয়োগ না করলে বস্তুর ত্বরণ শূন্য হয়। এ থেকে আমরা এভাবে বলের সংজ্ঞা দিতে পারি

"যে বাহ্যিক কারণ বস্তুর ত্বরণ সৃষ্টি করে তাকে বল বলা হয়।"।

অনেক সময় মনে হয় নিউটনের সূত্র আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতার সাথে অসংগতিপূর্ণ। আসুন উদাহরণ দেয়া যাক। একটি গাড়ি স্থির অবস্থায় আছে, এর উপর বল প্রয়োগ না করলে এটি স্থির থাকবে। 

কিন্তু যখন গাড়িটি গতিশীল থাকে তখন বল প্রয়োগ না করলেও কি গাড়িটি গতিশীল থাকবে? এখানেই অসংগতি, বস্তব অভিজ্ঞতায় আমরা দেখি কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়িটি থেমে যায়। আসলে কি তাই? চলন্ত গাড়িটি বল প্রয়োগের প্রভাবে গতিশীল থাকে। এমনকি গতি অপরিবর্তিত রাখতে হলেও বল প্রয়োগ করতে হয়। বরং বল প্রয়োগ বন্ধ করলেই কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়িটি থেমে যায়। এখানে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটে? গাড়িটির উপর ইঞ্জিনের বল প্রয়োগ বন্ধ হলেও অন্য ভাবে বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকে। তা হল, অভিকর্ষজ বলের কারণে পৃথিবীর কেন্দ্রমুখী টান, রাস্তার ঘর্ষণের ফলে ঘর্ষণ জনিত বাধা বা ধাক্কা এবং বাতাসের বাধা।

আরো পড়ুনঃ 

👉  পাইরোমিটার কাকে বলে?

👉  মৌলিক ব্যবধান কাকে বলে?

👉  তাপীয় সাম্যাবস্থা কাকে বলে?

👉  জিনের কাজ কি?

👉  DNA ট্রান্সলেশন কাকে বলে? 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url