আধান কাকে বলে?

মৌলিক পদার্থের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকে আধান বলে।

পদার্থের মৌলিক কণাগুলোর মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মই হচ্ছে আধান বা চার্জ। আধানের জন্য পদার্থ তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং নিজেও তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র উৎপন্ন করে।

আধান দুই প্রকার:

  • ধনাত্মক আধান
  • ঋণাত্মক আধান

যেসব পদার্থে ধনাত্মক আধানের সংখ্যা ঋণাত্মক আধানের সংখ্যার চেয়ে বেশি থাকে, সেগুলোকে ধনাত্মক আধানযুক্ত বলে। যেসব পদার্থে ঋণাত্মক আধানের সংখ্যা ধনাত্মক আধানের সংখ্যার চেয়ে বেশি থাকে, সেগুলোকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত বলে। আর যেসব পদার্থে ধনাত্মক আধানের সংখ্যা ঋণাত্মক আধানের সংখ্যার সমান থাকে, সেগুলোকে নিরপেক্ষ বলে।

আধানের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • আধান সংরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ, কোন বস্তু থেকে আধান সরানো বা যুক্ত করা গেলেও মোট আধানের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
  • সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে।
  • বিপরীতধর্মী আধান পরস্পরকে আকর্ষণ করে।

আধানের ব্যবহারের কিছু উদাহরণ হলো:

  • বিদ্যুৎ উৎপাদন
  • বিদ্যুৎ সরবরাহ
  • ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি
  • তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ
  • চিকিৎসা

আধানের উপর ভিত্তি করে পদার্থের শ্রেণীবিভাগ করা হয়। যেমন, ধনাত্মক আধানযুক্ত পদার্থকে ধনাত্মক আধানযুক্ত পদার্থ, ঋণাত্মক আধানযুক্ত পদার্থকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত পদার্থ এবং নিরপেক্ষ পদার্থকে নিরপেক্ষ পদার্থ বলা হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url